কেটি হোলি নামে ওই মহিলা জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে স্বামীর সঙ্গে নতুন বাড়িতে আসেন তিনি। সেখানে সবই ভাল, শুধু অনেক আরশোলা ছিল। স্থানীয় একটি সংস্থাকে খবর দেন তাঁরা। ওই সংস্থা থেকে এক ব্যক্তি এসে তাঁদের বাড়িতে আরশোলা তাড়ানোর স্প্রে দিয়ে যান। এরপর তাঁরা ভেবেছিলেন, আরশোলা আর নেই। কিন্তু এই ভাবনা ভুল ছিল। গত মাসে একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর বাঁ কানে কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। তিনি তুলো নিয়ে আস্তে করে কানে ঢুকিয়ে দেন। তখন বুঝতে পারেন, একটা পোকা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি যখন তুলোটি বার করেন, তখন দেখতে পান, সেটির সঙ্গে আরশোলার দু’টি পা বেরিয়ে এসেছে।
কানে আরশোলা ঢুকে গিয়েছে বুঝতে পেরে ভয় পেয়ে গিয়ে এক চিকিৎসকের কাছে যান কেটি। সেই চিকিৎসক আরশোলাটিকে মারার জন্য ওষুধ দেন। সেই ওষুধ দেওয়ার পরেই আরশোলাটি নড়াচড়া শুরু করে দেয়। ওই চিকিৎসক আরশোলাটিকে কেটির কান থেকে বার করতে পারেননি। ৯ দিন পরে অন্য এক চিকিৎসকের কাছে যান কেটি। তিনি আরশোলাটির শরীরের ৬টি অংশ বার করতে পারলেও, বাকি অংশগুলি রয়ে যায়। এরপর এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আরশোলাটির মাথা সহ বাকি অংশগুলি বার করে আনেন। সৌভাগ্যবশত সংক্রমণ হয়নি।