ঢাকা : ভারতের করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও সীমান্ত বন্ধ রাখার সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ সরকার। ভারতের সঙ্গে সমস্ত সীমান্ত আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা। ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরে গত ২৬ এপ্রিল থেকে সমস্ত সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল বাংলাদেশে। আগামীকাল ৩১ মে যে সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগের দিনই জানানো হল সীমান্ত বন্ধ রাখার মেয়াদ আরও দু'সপ্তাহ বাড়ানো হচ্ছে।


বাংলাদেশের বিদেশ সচিবের উপস্থিতিতে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। বাংলাদেশে মারণ ভাইরাসের প্রকোপ কমাতেই যে সিদ্ধান্ত বলেই খবর। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, নতুন করে আরও দুটি স্থল সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। চাউডাঙার দর্শনা ও চাঁপাইনাওয়াবগঞ্জের সোনা মসজিদ, এই দুই সীমান্ত সংযোগস্থলও বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে।


জনসাধারণের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলেও আগের মতোই মালপত্র ভারত থেকে স্থল সীমান্তে হয়েই ঢুকবে বাংলাদেশের মাটিতে। একই পন্থা চালু থাকবে বাংলাদেশের দিক থেকেও। এমনিতেই সীমান্ত বন্ধ থাকলেও ভারতে আটকে থাকা বাংলাদেশীদের দেশে ফেরানোর জন্য অবশ্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেনাপোল, আগরতলা, হিলি ও বুড়িমাড়ার স্থল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশীরা।


বাংলাদেশের ভারত সীমান্ত বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত বহাল রাখার অন্যতম কারণ সেদেশে কোভিড সংক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা একধাক্কায় বেশ কিছুটা বেড়ে যাওয়া। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক সেদেশের সরকারকে রিপোর্ট দেয়, বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতীয় বিভিন্নজেলাতে এখনও কোভিড সংক্রমণের হার যথেষ্ট বেশি। যার ভিত্তিতেই সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বাড়ানো হয়েছে বলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।


বাংলাদেশে গত একদিনে আরও ৩৪ জন কোভিডে মারা গিয়েছেন। যার ফলে সেদেশে মারণ ভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১২ হাজার ৫৮৩ জনে।