ডেনমার্ক: করোনাভাইরাসকে আর সামাজিকভাবে গুরুতর রোগ বলে মনে করছে না ডেনমার্ক সরকার। এই কারণে বেশিরভাগ করোনাবিধি শিথিল করে দিল প্রশাসন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলির মধ্যে ডেনমার্কই প্রথম বেশিরভাগ করোনাবিধি শিথিল করল। ইউরোপের অন্য দেশগুলি করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে। কোনও দেশ করোনাবিধি কিছুটা শিথিল করছে, আবার কোনও দেশ করোনাবিধি কঠোর করছে। এরই মধ্যে ডেনমার্ক সরকার নতুন পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করল। সেদেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু তাতে হাসপাতাগুলির উপর চাপ বাড়ছে না। কারণ, ডেনমার্কের বেশিরভাগ নাগরিকেরই টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই বেশিরভাগ করোনাবিধি শিথিল করে দেওয়া হল।


ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটি ফ্রেডারিকসেন ড্যানিশ রেডিওকে বলেছেন, ‘করোনাবিধি বরাবরের জন্য তুলে নেওয়া হচ্ছে, এমন ঘোষণা করার মতো সাহস আমার নেই। কারণ, শীতকাল শেষ হলে কী পরিস্থিতি হবে, সেটা আমরা জানি না। করোনার নতুন কোনও ভ্যারিয়্যান্ট আসবে কি না, সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে আপাতত বেশিরভাগ করোনাবিধি শিথিল করা হচ্ছে।’


ডেনমার্কের মোট বাসিন্দা ৫৮ লক্ষ। তার মধ্যেই সম্প্রতি একদিনে ৫০ হাজার জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আইসিইউ-তে করোনা আক্রান্তদের ভর্তি থাকার সংখ্যা কমেছে। সেই কারণেই বেশিরভাগ করোনাবিধি শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিল সরকার।


ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশ ডেনমার্কের পথে হাঁটছে। গত সপ্তাহে ইংল্যান্ডের নাগরিকদের জন্য বেশিরভাগ করোনাবিধি তুলে নেওয়া হয়েছে। কোনও জায়গাতেই আর মাস্ক বাধ্যতামূলক নয়, কোথাও ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট দেখাতে হবে না, কাউকে বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হচ্ছে না। শুধু কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাঁকে সেলফ আইসোলেশনে থাকতে হবে।


আয়ারল্যান্ডও সম্প্রতি বেশিরভাগ করোনাবিধি প্রত্যাহার করেছে। নেদারল্যান্ডসও লকডাউন সংক্রান্ত নিয়ম শিথিল করেছে। যদিও রেস্তোরাঁ ও পানশালা রাত ১০টাতেই বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। ফ্রান্স সরকারও করোনা সংক্রান্ত কিছু বিধি শিথিল করার কথা ভাবছে। তবে ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে এখন ফ্রান্সেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ফলে কিছু করোনাবিধি জারি রাখতে বাধ্য হচ্ছে সরকার।