নয়া দিল্লি: বিশ্বের পাশাপাশি দেশেও প্রতিদিন বাড়ছে ওমিক্রন (Omricron) প্রভাব। দক্ষিণ আফ্রিকায় (South Africa) প্রথম যখন করোনার (Coronavirus) এই প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায় সেই সময় দেখা যায় যে যারা কোভিডের দুটি ডোজ (Dose) নিয়েছেন তাঁরাও আক্রান্ত হয়েছেন। এর থেকে প্রাথমিকভাবে আশা করা হচ্ছে যে ভ্যাকসিন এই ওমিক্রনকে ঠেকাতে কার্যকরী নাও হতে পারে। 


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization) সাপ্তাহিক অতিমারী সংক্রান্ত আপডেটে জানিয়েছে ওমিক্রন কোন ভ্যাকসিন বা পূর্ববর্তী সংক্রমণ থেকে প্রাপ্ত অনাক্রম্যতা এড়াচ্ছে কি না তা আরও ভালভাবে বোঝার জন্য আরও তথ্যের প্রয়োজন। যেভাবে বিশ্বে ওমিক্রন দাপট বাড়ছে সেই আবহেই এই প্রশ্ন উঠছে। 


এদিকে, হু-এর পাশাপাশি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সংশয় প্রকাশ করেছেন খোদ নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল। ভি কে পল জানিয়েছেন, যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, তাতে ভ্যাকসিনগুলির কার্যকারিতা কমতে পারে। কিছু ভ্যাকসিন হয়তো করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। কিন্তু ছবিটা এখনও স্পষ্ট  নয়।


দিন যত যাচ্ছে, ওমিক্রন ঘিরে রানির দেশে উদ্বেগও ক্রমশই বাড়ছে। প্রতি দু থেকে তিন দিনের মধ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে সেখানে। লন্ডনে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৪৪ শতাংশই ওমিক্রন আক্রান্ত।  
এই পরিস্থিতিতে, বর্ষবরণের উত্‍সবের প্রাক্কালে, করোনাবিধি নিয়ে কড়াকড়ি ফিরেছে টেমসের পাড়ে। মাস্ক পরা থেকে ভ্যাকসিনেশন, এমনকি বুস্টার ডোজ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।             


বিশ্বে ক্রমবর্ধমান ওমিক্রন উদ্বেগের মধ্যেই আশার আলো দেখাল ফাইজার। এই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার দাবি, করোনার বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে তাদের তৈরি অ্যান্টি কোভিড পিল। সম্প্রতি মোট ২ হাজার ২৫০ জন পূর্ণবয়স্কের উপর এই ওষুধটি গবেষণামূলক প্রয়োগ করে সদর্থক ফল মিলেছে বলে সংস্থা সূত্রে খবর।