সিঙ্গাপুর: নোট বাতিল 'ভাল উদ্যোগ নয়' বলে জানালেন রাহুল গাঁধী। ৫ দিনের সিঙ্গাপুর সফরে আসা কংগ্রেস সভাপতির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি হলে কীভাবে, কোন আলাদা পথে নোট বাতিল কার্যকর করতেন। রাহুল বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকলে কেউ যদি বিমুদ্রাকরণ শব্দটা লেখা ফাইল আমার হাতে দিত, সোজা দরজার বাইরে ডাস্টবিনে সেটা ছুঁড়ে মারতাম! এভাবেই আমি নোট বাতিল কার্যকর করতাম। নোট বাতিলের ব্যাপারে ওটাই করা উচিত ছিল, কেননা তা একেবারেই ভাল কিছু ছিল না।
কংগ্রেস তাদের ট্যুইটার হ্যান্ডলে দলীয় সভাপতির কুয়ালালামপুরের প্রবাসী ভারতীয়দের এক 'আগ্রহী জনতার' আলাপচারিতার একটি ভিডিও বের করেছে। সেখানেই আছে রাহুলের এই মন্তব্য।
২০১৬-র ৮ নভেম্বরের সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আচমকা ৫০০, ১০০০ টাকার নোট সেদিন মধ্যরাত থেকে অচল ঘোষণা করেন।





কংগ্রেস বরাবর এর তীব্র বিরোধিতা করে এতে আর্থিক মন্দা মাথাচাড়া দেবে বলে দাবি করে।
এর আগে বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে রাহুল অভিযোগ করেন, মোদী নোট বাতিলের মতো 'হঠকারী', 'বিপজ্জনক' ও 'তড়িঘড়ি চালু করে দেওয়া' জিএসটি-র মতো সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ভারতীয় অর্থনীতির 'বিরাট ক্ষতি' করেছেন।
মহিলা ক্ষমতায়ন সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে রাহুল জানান, মেয়েদের ক্ষমতাশালী করতে হলে শুধু সমতাই যথেষ্ট নয়, বরং মেয়েদের পুরুষের তুলনায় বেশি সমর্থন করতে হবে যাতে তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অবসান হতে পারে। তিনি বলেন, আমি মেয়েদের পুরুষের সমান নয়, বরং বেশি গুরুত্ব দিই। আমার মতে, সব সমাজেই, এমনকী পশ্চিমী বিশ্বেও একটা পক্ষপাত রয়েছে যা শুধরানো দরকার। আর সেজন্য শুধু মেয়েদের পুরুষের সমান করে দেখলেই হবে না, বরং মেয়েদের প্রতি পক্ষপাত করতে হবে, ছেলেদের চেয়ে বেশি সমর্থন করতে হবে তাদের।




নিজের ফেসবুক পেজে রাহুল পোস্ট করেছেন, কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ান ভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রহ্মণ্যম সদাশিবমের সঙ্গেও দেখা করেছি। আদতে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ওরা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসেরই অংশ ছিল। মালয়েশিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনে বড় ভূমিকা ছিল ওদের।
মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে যোগসূত্র গড়তেই নাকি রাহুলের এই সফর, শোনা যাচ্ছে।
গতকাল তিনি সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি হসেন লুং-এর সঙ্গেও দেখা করেন।