হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর যে পণবন্দিদের দেহ মিলেছিল, ফরাজ তাঁদেরই একজন। তাঁর সঙ্গেই উদ্ধার করা হয় তাঁর দুই বন্ধু ভারতীয় তারিশি জৈন ও আমেরিকাবাসী বাংলাদেশী অবিন্তা কবীরের দেহ। বাংলাদেশের নামি পত্রিকা 'প্রথম আলো' দাবি করে, ফরাজ ঠিকমতো কোরানের আয়াত বলতে পারায় তাঁকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল জঙ্গিরা। কিন্তু তারিশি ও অবিন্তার সঙ্গ ছাড়তে না চাওয়ায় প্রাণ দিতে হয় তাঁকে। স্বাভাবিকভাবেই মুসলিম সন্ত্রাসের সম্পূর্ণ ভিন্নমুখী এই সম্প্রীতি ও আত্মত্যাগের ছবি দেশবিদেশে ছড়িয়ে পড়ে, ফরাজকে নায়কের মর্যাদা দেওয়া হয়। কিন্তু অচিরেই বাংলাদেশ থেকেই এই দাবির বিরোধিতায় অন্য সব তথ্য সামনে আতে শুরু করে। প্রশ্ন ওঠে, হিরো ফয়াজ আসলে নিজেই জঙ্গি ছিলেন কিনা। বাংলাদেশের সংবাদপত্র 'দৈনিক নিরপেক্ষ'-য় এমন কিছু ছবি প্রকাশিত হয়েছে, যাতে দাবি করা হয়েছে, আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালানো এক জঙ্গির সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ফরাজ। ইউটিউবের এই ভিডিওতেও এক জঙ্গিকে দেখা যাচ্ছে, যাকে দেখতে একেবারে ফরাজের মত।
আরও খবর, যে খবরের কাগজে ফরাজকে প্রথম হিরো করে দেখানো হয়, সেই 'প্রথম আলো'-র মালিক ফরাজের মাতামহ। তবে বাংলাদেশ সরকার বা পুলিশ এখনও ফরাজের ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানায়নি।