নয়াদিল্লি: সারা বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের দাপটে তছনছ হয়ে গিয়েছে স্বাভাবিক জীবন। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে অর্থনীতি। এই বিপদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য শুরু থেকেই চলে টিকা তৈরির প্রয়াস। অবশেষে সেই প্রচেষ্টায় সাফল্য এসেছে। বেশ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনে অনুমোদন মিলেছে। ব্রিটেনে টিকাকরণ আগেই শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে আমেরিকায় আজ দেওয়া হল করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ। আর এই উপলক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্যুইট করে দেশ তথা বিশ্বকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁর ট্যুইট-প্রথম টিকা দেওয়া হল। অভিনন্দন আমেরিকা, অভিনন্দন বিশ্ব।



সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, নিউইয়র্কে স্বাস্থ্যকর্মীদের ফাইজারের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। লঙ আইল্যান্ড জিইউস মেডিক্যাল সেন্টারে কর্তব্যরত নার্স স্যান্ড্রা লিন্ডসেকে লাইভ সম্প্রচারের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হল।
উল্লেখ্য, মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক কর্তৃক তৈরি কোভিড-১৯ টিকা এখনও পর্যন্ত ব্রিটেন, কানাডা, বাহরিন ও সিঙ্গাপুরে দেওয়া হয়েছে। আমেরিকা গত শুক্রবার ফাইজারের এই কোভিড-১৯ টিকার জরুরিকালীন ছাড়পত্র দিয়েছে।
আর এরসঙ্গেই আমেরিকার ইতিহাসে মহামারির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বৃহৎ টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছে। করোনার প্রকোপে সারা বিশ্বে ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে ১৬ লক্ষেরও বেশি মানুষের। আক্রান্তের সংখ্যা ৭.১ কোটি। আমেরিকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন লক্ষেরও বেশি মানুষের। আমেরিকার টিকাকরণ অভিযানে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য কর্মী ও নার্সিং হোমের কর্মীদের।
ফাইজারের এই টিকা খুবই কম তাপমাত্রায় অর্থাৎ শূন্যের থেকে ৯৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে রাখা হয়েছে। এজন্য ফাইজার ড্রাই আইসযুক্ত কন্টেনার ও জিপিএস সেন্সর ব্যবহার করছে।
শুক্রবার রাতে টুইটারে ভিডিও পোস্ট করে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘ফেডেক্স এবং ইউপিএস-এর সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক থাকায় ফাইজারের টিকা দ্রুত দেশে আনাতে চলেছি। প্রতিটি প্রদেশে ওই টিকা শীঘ্রই পৌঁছে যাবে’।
ফাইজারের ভ্যাকসিনে এফডিএ-র অনুমোদনের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমাদের দেশ দারুণ একটা কৃতিত্ব অর্জন করেছে। আমরা মাত্র নয় মাসে একটি কার্যকরী ও নিরাপদ ভ্যাকসিন নয় মাসের মধ্যে তৈরি করেছি। এটা ইতিহাসে দারুণ একটা বৈজ্ঞানিক কৃতিত্ব। এতে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচবে। খুব শীঘ্রই অতিমারির বিপদ শেষ হবে। এফডিএ ফাইজারের ভ্যাকসিনে অনুমোদন দেওয়ায় আমি রোমাঞ্চিত।