ওয়াশিংটন: ৬টি মুসলিম অধ্যুষিত দেশের বাসিন্দাদের ভিসা দেওয়ার তালিকা থেকে ফের বাদ দিল আমেরিকা। এই দেশগুলির বাসিন্দাদের ওপর ৯০দিনের ট্রাভেল ব্যান ইস্যু করা হয়েছে। তবে এবারের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ইরাক। যে দেশগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রইল তারা হল, ইরান, লিবিয়া, সিরিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।


গতকাল এই নির্দেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৬ তারিখ থেকে নয়া নির্দেশ কার্যকর হবে।

তালিকা থেকে ইরাক বাদ কেন? হোয়াইট হাউস জানাচ্ছে, ভিসা ইস্যু প্রক্রিয়া বাগদাদ আগের থেকে অনেকটাই কঠোর করেছে। তা ছাড়া আইএসআইএস দমনে ওয়াশিংটনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে তারা। তাই তাদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

একইসঙ্গে আমেরিকার শরণার্থী গ্রহণ প্রক্রিয়াও ১২০দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে, বলা হয়েছে, প্রতি বছরে ৫০,০০০-এর বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব হবে না। ওবামা আমলে এই সংখ্যা ১,১০,০০০ ছিল।

এবারের নির্দেশ ট্রাম্পের পুরনো নিষেধাজ্ঞা থেকে অনেকটাই ভিন্ন। এবারের এই নিষেধাজ্ঞা আগের থেকে অনেক বেশি নির্দিষ্ট। এবার নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে, কেস টু কেস ভিত্তিতে ওই ৬টি দেশের কোন ধরনের নাগরিকদের ভিসার আবেদন বিবেচনা হতে পারে। যাঁরা ইতিমধ্যেই আমেরিকায় এসে পড়েছেন অবিচ্ছিন্ন চাকরি, লেখাপড়া বা অন্য কাজকর্মে তাঁদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম শিথিল করা যেতে পারে। যাঁদের এ দেশে বড়সড় ব্যবসা বা পেশাদারি বাধ্যবাধকতা রয়েছে, যারা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে বা থাকতে চান, তাঁরাও ছাড় পেতে পারেন।

তবে বিরোধী ডেমোক্র্যাট ও নাগরিক সমাজের একাংশের অভিযোগ, শুধু মুসলিমদের অচ্ছুৎ করে রাখার জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করল ট্রাম্প প্রশাসন। এর ফলে অসংখ্য অভিবাসী পরিবার সমস্যায় তো পড়লই, এই নিষেধাজ্ঞা মার্কিন মূল্যবোধেরও সম্পূর্ণ বিপরীত বলে তাঁদের দাবি।