ঢাকা: জামাত নেতা ও যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলির ফাঁসি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করার জন্য পাকিস্তানকে একহাত নিল বাংলাদেশ।


এদিন পাকিস্তানের হাই-কমিশনারকে ডেকে পাঠিয়ে নিজেদের অসন্তোষের কথা স্পষ্ট করে বাংলাদেশ প্রশাসন।

জানা গিয়েছে, পাক হাই কমিশনার সামিনা মেহতাবকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁর কাছে প্রতিবাদ জানান বাংলাদেশের অতিরিক্ত বিদেশ সচিব (দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক) কামরুল এহসান।

প্রায় ২০ মিনিট ধরে বৈঠক হয়। সেখানে এহসান পাক দূতকে জানিয়েছেন, মীর কাসেম আলির মৃত্যুদণ্ড নিয়ে যে প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের তরফে করা হয়েছে, তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার সামিল।

মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার জন্য গতকাল রাতেই ৬৩ বছরের এই ব্যবসায়ীকে ফাঁসি দেওয়া হয়। এই নিয়ে মোট ৬ জন জামাত নেতাকে ফাঁসি দিল বাংলাদেশ প্রশাসন।

এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এই মৃত্যুর জন্য পাকিস্তানের তরফে দুঃখপ্রকাশ করা হয়। পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ভুল বিচারব্যবস্থার বলি হলেন এক নেতা। এতে পাকিস্তান শোকাহত।

এহসান জানান, তিনি পাক দূতকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, মীর কাসেমের শুনানি অত্যন্ত নিরপেক্ষতার সঙ্গে সকলের সামনেই হয়েছে। তিনি আরও জানান, মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আবেদনের সুযোগও পেয়েছিলেন কাসেম। সেগুলি তিনি ব্যবহারও করেছিলেন।

এদিন ইসলামাবাদ প্রশাসনকে একহাত নেয় ঢাকা। পাক হাই কমিশনারকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, অতীতে বারংবার গণহত্যা ও দেশদ্রোহিতায় বাংলাদেশে দোষী সাব্যস্তদের সমর্থনে আসরে নেমেছে পাকিস্তান। এবারও তার অন্যথা হয়নি।

এহসান বলেন, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার ঘটনায় তারা যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল, তা এদিন ফের প্রমাণ করল পাকিস্তান।

সুপ্রিম কোর্টের মনে হয়েছে, ১৯৭১-এর যুদ্ধে গণহত্যায় সামিল হয়েছিলেন এই মীর কাসেম।

প্রসঙ্গত, মীর কাসেম ছিল পাক-সমর্থিত আল-বদর গোষ্ঠীর তিন নম্বর শীর্ষ নেতা। যুদ্ধের সময় আল-বদর পরিচালিত নির্যাতন-শিবির চালিয়ে সেখানে বহু নিরীহকে হত্যা করায় দোষী সাব্যস্ত হয় কাসেম।