নয়া দিল্লি: তালিবানদের সঙ্গে বৈঠকের পরই পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেছিলেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গনির ভাই হাশমত গনি আহমদজাই তালিবানে যোগ দিয়েছে। তিনি তালিবান দলকে সাপোর্ট করছেন এমনটাই বলা হয়েছে। 


আফগানিস্তান ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আশ্রয় নেওয়া আশরাফ গনি আফগানিস্তানে ফিরতে পারে, এমন সম্ভাবনা ছিল। এও অভিযোগ করা হয় তিনি নগদ ভরা স্যুটকেস নিয়ে কাবুল ছেড়ে গিয়েছেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন আশরাফ গনি। 


শনিবারের নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে যে প্রধান হাশমত গনি আহমদজাই নেতা খলিল-উর-রহমান এবং পণ্ডিত মুফতি মাহমুদ জাকিরের উপস্থিতিতে তালিবানদের প্রতি তার সমর্থন ঘোষণা করেন। সেই বৈঠকের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।


এদিকে সম্প্রতি ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, দেশে থাকলে হয় তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলতো তালিবান। অন্যথায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নজিবুল্লাহর মতো পরিণতি হতো তাঁর। অর্থাৎ ল্যাম্পপোস্টে তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলাত তালিবানরা। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, "আমাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। ওখানে থাকলে রক্তপাত ঘটতই। হয় আমাকে পিটিয়ে মেরে ফেলতো তালিবান। নয়ত আরেক প্রেসিডেন্টকে ল্যাম্পপোস্টে ঝুলতে দেখত আফগানবাসী।’ 


পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তিনি চপারে করে টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়েছেন। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গনি। তার দাবি, বিমানবন্দরে শুল্ক দফতরের কঠোর নিরাপত্তার বেড়াজাল পেরিয়ে তিনি আরব আমিরশাহীতে প্রবেশ করেছেন। ফলে সঙ্গে বিপুল পরিমাণ টাকা থাকলে তখন তা ধরা পড়ে যেতো। তাঁর কথায়, ‘আমি শুধু পরনের কয়েকটা জামাকাপড় নিয়ে এসেছি।"  


এদিকে, ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠন করার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করবে না তালিবান। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের তেমনই বোঝাপড়া হয়েছে। ৩১ অগাস্টের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পূর্ণ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারপর আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করতে পারে তালিবান। এমনই জানিয়েছেন এক আধিকারিক।