নয়া দিল্লি: তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকে হিংসা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে অশান্ত হয়েছে সে দেশ। ইতিমধ্যেই রাজধানী কাবুলসহ আরও অনেক শহরে ছড়িয়ে পড়ে তালিবানদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। জানা গিয়েছে এই ঘটনার মধ্যেই তালিবান বিরোধী যোদ্ধারা কয়েকজন জঙ্গিকেও হত্যা করেছে বলে খবর। তালিবান দখলে থাকা তিনটি জেলা উদ্ধার করতেও সক্ষম হয়েছে আফগান বিদ্রোহীরা।
বগলান প্রান্তের বানু, পোল-ই-ইসার আর দেহ-ই-সলাহ জেলায় পিছু হটতে বাধু হয়েছে তালিবান সেনারা। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দুই পক্ষের তুমুল সংঘর্ষের পর তালিবানরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। প্রতিরোধ বাহিনী তালিবানদের কাছ থেকে আফগানিস্তানের তিনটি জেলা পুনরুদ্ধার করে।
খায়ৈর মুহম্মদ আন্দরাবির অধীনে জন প্রতিরোধ বাহিনী দাবি করেছে যে তারা তিনটি জেলা, পোল-ই-হেসার, দেহ সালাহ এবং বানু এলাকা তালিবান নিয়ন্ত্রণ থেকে পুনরুদ্ধার করেছে। প্রতিরোধ বাহিনী এখন অন্যান্য জেলার দিকেও অগ্রসর হচ্ছে। তালিবানদের হাত থেকে আফগানিস্তান রক্ষা করতে এগিয়ে চলেছে একাধিক বাহিনী। আফগান সংবাদসংস্থা আসভাকা জানিয়েছে, "বেশ কয়েকজন তালিবান নিহত ও আহত হয়েছে এই ঘটনায়"।
এদিকে, ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠন করার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করবে না তালিবান। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের তেমনই বোঝাপড়া হয়েছে। ৩১ অগাস্টের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পূর্ণ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারপর আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করতে পারে তালিবান। এমনই জানিয়েছেন এক আধিকারিক।
অন্যদিকে, সময় যত এগোচ্ছে, কাবুল-সহ বিভিন্ন জায়গায় ততই আসল মূর্তি ধারণ করছে তালিবান। ফিরছে মধ্যযুগীয় অত্যাচার। রাস্তায় রাস্তায় চলছে তালিবানি-তাণ্ডব। কালাশনিকভ হাতে রাস্তায় রাস্তায় চলছে তালিবান জঙ্গিদের রুটমার্চ। এক কথায়, জ্বলছে আফগানিস্তান।
দিনে দিনে ভিড় বাড়ছে কাবুল বিমানবন্দরে। মানুষকে ভয় দেখাতে বিমানবন্দরে গুলি চালায় তালিবান। গুলি করে মার্কিন বাহিনীও। আতঙ্কে ছুটোছুটি করতে শুরু করেন মহিলা ও শিশুরা। এরই মধ্যে এক জার্মান সাংবাদিককে না পেয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যকে খুন করেছে তালিবান জঙ্গিরা। যার তীব্র সমালোচনা সরব হয়েছে জার্মান সংবাদ সংস্থা।