ওয়াশিংটন: ২০১১-তে অ্যাবোটাবাদে হামলা চালিয়ে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র স্টেশন চিফকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই? মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে এই সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১১-র মার্চে লাদেনের ডেরায় মার্কিন নেভি সিলের হামলার ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন সিআইএ স্টেশন চিফ মার্ক কেল্টন।
ওই হামলার দুই মাস পরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ইসলামাবাদ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কেল্টনকে।
ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত এক তদন্তমূলক প্রতিবেদনে বর্তমান ও তত্কালীন মার্কিন আধিকারিকদের মন্তব্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ওই ঘটনার পর মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কেল্টন। তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়াতে তাঁকে আমেরিকায় ফিরিয়ে আনা হয়। তাঁর অসুস্থতার এই ধরনই সন্দেহ বাড়িয়েছে। এক্ষেত্রে আইএসআই তাঁকে যে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা করেছিল, এই সন্দেহের অনেক কারণ রয়েছে।
কেল্টন বর্তমানে সিআইএ থেকে অবসর নিয়েছেন এবং পেটে অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
পাকিস্তানে দৃতাবাসের তরফ থেকে এই খবরের সত্যতা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেল্টন কোনওভাবেই কোনওরকম সাক্ষাত্কার দিতে অস্বীকার করেন। যদিও টেলিফোনে সংক্ষিপ্ত কথপোকথনে তিনি বলেছেন, তাঁর অসুস্থতার কারণ ‘কখনই ব্যাখ্যা করে’ বলা যাবে না। কেল্টন আরও বলেছেন, তিনি নিজে প্রথমে ভাবেননি যে তাঁর ওপর বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। কেল্টন আরও বলেছেন, এ সংক্রান্ত জল্পনার সূত্রপাত তিনি করেননি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,লাদেন-হত্যা পরবর্তী সময়ে পাক-মার্কিন সম্পর্কের অভিঘাতের ক্ষেত্রে নয়া মাত্রা যোগ করল এ ধরনের তথ্য। এছাড়াও আরও বলা হয়েছে যে, বিষ প্রয়োগের সন্দেহ যদি ভিত্তিহীনও হয়,তাহলেও সিআইএ এবং তার স্টেশন চিফ মনে করতেন যে, আইএসআই এ ধরনের কাজ করতে পারে। আর এর থেকেই স্পষ্ট, লাদেন-নিধন পরবর্তী সময়ে দুই দেশের পারস্পরিক আস্থা অনুমানের চেয়েও অনেক বেশি ভেঙে পড়েছিল।
যদিও সিআইএ-র মুখপাত্র বলেছেন, সে দেশে কর্মরত কোনও মার্কিন আধিকারিকের ওপর পাক কর্তৃপক্ষের বিষ প্রয়োগের কোনও প্রমাণ নেই।
লাদেন-খতম পরবর্তী সময়ে বিষপ্রয়োগ করে সিআইএ স্টেশন চিফকে মারতে চেয়েছিল আইএসআই?
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
06 May 2016 06:22 AM (IST)
NEXT
PREV
আন্তর্জাতিক (world) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -