টেক্সাস : আমেরিকায় বর্ণবিদ্বেষের শিকার চার ভারতীয়-আমেরিকান মহিলা। টেক্সাসের ঘটনা। যা নিয়ে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গেছে নেটদুনিয়ায়। ঘটনায় অভিযুক্ত মেক্সিকান-আমেরিকান মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত মহিলার নাম স্মেরাল্ডা আপটন। 


ঘটনাটা কী ?


গত ২৪ অগাস্ট রাতের ঘটনা। টেক্সাসের ডালাসে একটি গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় বর্ণবৈষম্যের শিকার হন ওই চার ভারতীয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, শ্বেতাঙ্গ ওই মহিলা চার ভারতীয়-আমেরিকান মহিলাকে উদ্দেশ্য করে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করছেন। তিনি বলতে থাকেন, "ভারতীয়দের ঘৃণা করি। এই ভারতীয়গুলো ভাল জীবনযাপনের খোঁজে আমেরিকায় চলে আসছে।" পরের মুহূর্তেই তিনি ভারতীয় মহিলাদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, "ভারতে ফিরে যাও। তোমরাই এই দেশটাকে শেষ করে দিচ্ছ।" শুধু তা-ই নয়, তিনি ওই চারজনের মধ্যে দুই মহিলাকে শারীরিক হেনস্থাও করা হয়।



গোটা ঘটনাটি ভিডিও করতে থাকেন হেনস্থার শিকার হওয়া এক মহিলা। যার পোস্টের মাধ্যমে এই ঘটনাটি সামনে এসেছে, তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, "টেক্সাসের ডালাসে আমার মা ও তাঁর তিন বন্ধু ডিনার করতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই এই ঘটনাটি ঘটে।" তাঁর মা-ই ঘটনাটি ভিডিও করেন। শ্বেতাঙ্গ ওই মহিলাকে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রতিবাদও করতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি তাঁকে (আমেরিকান মহিলা) এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে অনুরোধও করেন।


আরও পড়ুন ; স্কুটারে পিৎজা ডেলিভারি বয়ের সফরসঙ্গী তাঁর সারমেয় বন্ধু! ভাইরাল ভিডিও দেখে খুশি নেটিজেনরা


একটা সময় দেখা যায় শ্বেতাঙ্গ ওই মহিলা বলতে থাকেন, তিনি আমেরিকায় জন্মেছেন। এই পরই তিনি ভারতীয় মহিলাকে শারীরিক নিগ্রহ করেন। সঙ্গে অন্যদের সঙ্গেও একই ব্যবহারে উদ্যত হন। যদিও মেজাজ না হারিয়ে, ভারতীয় মহিলারা তাঁকে সংযত হওয়ার কথা বলতে থাকেন। তাতে আরও রেগে গিয়ে আমেরিকান ওই মহিলা বলতে থাকেন, "সব জায়গায় এই ভারতীয়রা রয়েছে। ভারতে যদি জীবন এতই ভালভাবে কাটানো যায়, তাহলে এখানে কেন আছ তোমরা ?"


এরপরই ছাপার অযোগ্য শব্দ ব্যবহার করতে থাকেন তিনি। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে অভিযুক্ত মহিলা স্মেরাল্ডা আপটনকে গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহ-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। আরও অভিযোগ, চার ভারতীয় মহিলা ইংরেজি বলার সময় যথার্থ উচ্চারণ থাকায় ওই মহিলা নাকি খেপে ওঠেন। এর জেরে তিনি ওই চার ভারতীয় মহিলাকে গুলি করে খুন করতেও চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।


এনিয়ে তদন্ত চলছে। এদিকে গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে দক্ষিণ এশিয় আমেরিকান সম্প্রদায়।