প্যারিস : দ্বিতীয় বার মসনদে বসতে চলেছেন ইম্যানুয়েল ম্যাক্রো (Emmanuel Macron)। প্রতিদ্বন্দ্বী মেরিন লে পেন-কে পরাস্ত করলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট (French President)। স্বস্তিজনক মার্জিনে জয়লাভ।
আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে চ্যাম্প ডি মার্স পার্কে একটি বিশাল স্ক্রিনে ফলাফল ভেসে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে ম্যাক্রো সমর্থকদের মধ্যে। তাঁরা ফরাসি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা নিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। ম্যাক্রো- সমর্থকরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে স্লোগানও তোলেন।
অন্যদিকে প্যারিসের উপকণ্ঠে একটি বিস্তীর্ণ হলে জমায়েত করা লে পেনের সমর্থকদের মধ্যে হতাশার ছবি ধরা পড়ে। লে পেন পরাজয় স্বীকার করে নেন। কিন্তু জুনে সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। সমর্থকদের উদ্দেশে তাঁরা বার্তা, আমি কখনও ফরাসিদের পরিত্যাগ করব না।
আজ ফলপ্রকাশের গোড়ার দিকে দেখা যায়, ম্যাক্রো প্রায় ৫৭ থেকে ৫৮ শতাংশ ভোট পেতে পারেন। ফ্রান্সের বিভিন্ন টিভির সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে আসে। কিন্তু প্রকৃত তথ্য আসতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়। অফিসিয়ালি অনেকটাই পরিষ্কার হয় ছবিটি। তবে, রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলপ্রকাশ করা হবে।
এর আগে ২০১৭ সালের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রতিদ্বন্দ্বিতার থেকেও কম মার্জিন দেখা যায় এবার । সেবারও এই দুই প্রার্থী রান অফে মুখোমুখি হয়েছিলেন। ম্যাক্রো ৬৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। এদিকে এবারও ম্যাক্রোর নির্বাচনের পর ইউরোপ জুড়ে স্বস্তি দেখা গেছে অনেকের মধ্যে। কারণ, পেন প্রেসিডেন্ট হলে ব্রেক্সিট এবং জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের প্রস্থানের পরে পুরো মহাদেশে সমস্যা দেখা দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
এই পরিস্থিতিতে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি ম্যাক্রোর জয়কে "সমস্ত ইউরোপের জন্য দারুণ খবর" বলে অভিহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে জ্যাক শিরাকের পর ম্যাক্রোঁই প্রথম ফরাসি প্রেসিডেন্ট যিনি পুনরায় নির্বাচনে জয়ী হলেন। জ্যাক শিরাকের পূর্বসূরি নিকোলাস সারকোজি এবং ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদে মাত্র এক বারের মেয়াদের পরে অফিস ছাড়েন।