আলোচনা চলে প্রায় ৯০ মিনিট। বৈঠকে ছিলেন গুগলের সুন্দর পিচাই, অ্যাপলের টিম কুক, সিসকোর জন চেম্বার্স, আমাজনের জেফ বেজোস প্রমুখ ২০টি সেরা কর্পোরেট সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা। এরপর অনাবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে একটি সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, আমেরিকায় উপযুক্ত পরিবেশ পেয়েছিলেন বলে অনাবাসীরা এত উন্নতি করেছেন এখানে। এবার একইভাবে বদলে যাবে ভারতও, কারণ ১২৫ কোটি ভারতীয়কে উপযুক্ত পরিবেশ দেওয়া হচ্ছে।
মার্কিন সিইওদের সঙ্গে গোল টেবিল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত তিন বছরে তাঁর সরকারের বাণিজ্যমুখী নীতির ফলশ্রুতি হিসেবে সবথেকে বেশি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ভারতে। তাঁর সময়ে ৭,০০০-এর বেশি সংস্কার করা হয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য, ব্যবসার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা ও মিনিমাম গভর্নমেন্ট, ম্যাক্সিমাম গভর্ন্যান্স।
তাঁর কথায়, গোটা বিশ্ব এখন ভারতীয় অর্থনীতির দিকে তাকিয়ে, বিশেষত নির্মাণ, ব্যবসা বাণিজ্য ও মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ দেশে তরুণ প্রজন্ম ও শক্তিশালী মধ্যবিত্ত শ্রেণি দেশের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের উন্নয়নে আমেরিকা ও মার্কিন সংস্থাগুলি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, আমেরিকা যদি শক্তিশালী হয়, তাতে স্বাভাবিকভাবেই উপকৃত হবে ভারত।
তাঁর আলোচনায় বড় জায়গা নিয়ে ছিল জিএসটি। সেটি চালু করা অত্যন্ত কঠিন কাজ, মার্কিন বিজনেস স্কুলগুলিতে এ ব্যাপারে পড়ানো যেতে পারে। এর মানে ভারত বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্রুত তা কার্যে পরিণত করতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন।
মার্কিন সিইওরা নোটবাতিল, অর্থনীতির ডিজিটাইজেশন ও জিএসটিকে স্বাগত জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মেক ইন ইন্ডিয়া, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্টার্টআপ ইন্ডিয়ার মত প্রকল্পগুলিকেও সমর্থন জানিয়েছেন তাঁরা।