লাহৌর: সন্ত্রাসদমন আইনের আওতায় তালিকাভুক্ত জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সঈদকে সেদেশের নিরাপত্তার পক্ষে ভয়ঙ্কর বিপদ বলে মন্তব্য করল পাকিস্তান। দেশের বৃহত্তর স্বার্থেই হাফিজকে গৃহবন্দী করা হয়েছে বলেও জানাল ইসলামাবাদ। জার্মানির মিউনিখে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক সম্মেলনে হাফিজ সম্বন্ধে এই স্বীকারোক্তি করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন আইন (এটিএ)-র চতুর্থ শিডিউলের আওতায় গত ৩০ জানুয়ারি হাফিজকে লাহৌরে গৃহবন্দী করা হয়েছে। মুম্বই হামলার মূলচক্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করায় পাক সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে হাফিজের সংগঠন ও সহযোগীরা ।
হাফিজকে সন্ত্রাসবাদীদের তালিকাভুক্ত করে পাকিস্তান মেনে নিয়েছে যে, জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যোগ রয়েছে লস্কর-ই-তৈবা প্রধানের।
চলতি মাসের গোড়ায় হাফিজের নাম তোলা হয় এক্সিজ কন্ট্রোল লিস্ট-এ। সে যাতে দেশের বাইরে যেতে না পারে, সেজন্যই এই তালিকায় তার নাম রাখা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৮-এর মুম্বই হামলার পরও হাফিজকে গৃহবন্দী করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০৯-এ আদালতে খালাস পেয়ে গিয়েছিল সে।
জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার জন্য আমেরিকা হাফিজের মাথার দাম ১ কোটি ডলার ঘোষণা করেছে।
মিউনিখ সম্মেলনে চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কোনও বিশেষ ধর্মের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে যুক্ত করা যায় না। সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ধর্ম নেই। তারা জঙ্গি, তারা অপরাধী।
পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে মার্কিন নীতিরও কড়া সমালোচনা করেছেন। আসিফ বলেছেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে দেশের মানুষ ও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে নিজের এই দায়বদ্ধতা পূর্ণ করার কাজ চালিয়ে যাবে ইসলামাবাদ। কিন্তু পশ্চিমী দেশগুলি একঘরে করার  নীতি নিলে তা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইতে সাহায্য করবে না, বরং তা এই বিপদের আগুনে ঘৃতাহুতি দেবে।