মাসুদের বক্তব্য, জেইউডি কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী নয়, নেহাত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, স্কুল, হাসপাতাল চালায়। লাহৌরের বাড়িতে সইদ বন্দি থাকলেও পাক পঞ্জাব সরকারের তত্ত্বাবধানে তাদের কাজ পুরোদমে চলছে। তার দাবি, কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছে লস্কর ই তৈবা, তার সঙ্গে জামাত উদ দাওয়ার কোনও যোগ নেই। কাশ্মীরী জঙ্গিরা সকলেই ভূমিপুত্র, তারা সেখানেই কাজ করছে।
হাফিজের ভাইয়ের অভিযোগ, ভারতের চাপেই তার ভাইকে আটক করতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। ভারত সরকার এর মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা থেকে বিশ্বের নজর ঘোরাতে চায়। নিজেদের কুকর্ম লুকোনোর জন্য তারা চায়, হাফিজ সইদ ও পাকিস্তানকে নিয়ে হইচই চলুক। তাই তারা সুবিধেমত সন্ত্রাসবাদের ব্যাখ্যা করতে চাইছে। দেশের প্রশাসনের ওপর চটে থাকলেও পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের প্রশংসা করেছে মাসুদ। তার মন্তব্য, শরিফ শান্তিপ্রিয়, তিনি কাশ্মীরীদের বন্ধু। তিনি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চান। কিন্তু ভারত পাকিস্তানের শান্তির চেষ্টাকে দুর্বলতা ভাবছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যেদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার নিলেন, সেই ৩০ জানুয়ারিই হাফিজকে গৃহবন্দি করেছে পাকিস্তান। দিনকয়েক আগে তারা তাকে অভিযুক্ত করেছে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনে। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, বিশ্বের সামনে ভালমানুষির প্রমাণ খাড়া করতেই এমনটা করেছে তারা।