বেজিং: ২০০৮-এর মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলায় পাকিস্তানের ভূমিকার কথা প্রথম প্রকাশ্যে মানল তাদের পরম মিত্র বলে পরিচিত চিন? সম্প্রতি চিনের সরকারি টেলিভিশন সিসিটিভি ৯-এ সম্প্রচারিত এক তথ্যচিত্রে ভারতের বাণিজ্য নগরীতে আতঙ্ক ছড়ানো ২৬ থেকে ২৯ নভেম্বরের সেই ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী নাশকতায় লস্কর-ই-তৈবা ও পাকিস্তানের তাদের মদতদাতাদের জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে। তারপরই এই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

 

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চিন, পাকিস্তানের দহরম মহরমের কথা সুবিদিত। সেই প্রেক্ষাপটেই ওই তথ্যচিত্র সম্প্রচারিত হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, তবে কি পাকিস্তান নিয়ে অবস্থান বদলাচ্ছে চিনের?

 

ঘটনাচক্রে তিন প্রথম সারির লস্কর-জামাত জঙ্গি হাফিজ আবদুল রহমান মাক্কি, তালহা সঈদ ও হাফিজ আবদুল রউফকে ২০১৫-র সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের আল কায়েদা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ কমিটি তালিকাভুক্ত করতে চাইলে প্রায় গোটা আন্তর্জাতিক মহল সম্মতি দিলেও পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে বাগড়া দেয় চিন। তারা টেকনিক্যাল কারণ দেখিয়ে সেই পদক্ষেপ ঠেকিয়ে রাখে। চিনের আপত্তির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে ৯ জুন। তার প্রাক্কালেই ওই তথ্যচিত্র দেখানো হয়েছেয।

উল্লেখ্য, জয়েশ-ই-মহম্মদকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা কমিটি নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ফেললেও জঙ্গি গোষ্ঠীটির মাথা হাফিজ মহম্মদ সঈদকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে একই ভাবে পদ্ধতিগত কারণ দেখিয়ে বাধা দিয়ে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলের নিন্দিত হচ্ছে চিন।

 

তবে কি শেষমেষ চিন বুঝতে পারছে যে, সন্ত্রাস বিষয়ক ইস্যুতে পাকিস্তানকে চোখ বুজে সমর্থন করে গেলে দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসাবে তার নিজের ভাবমূর্তি মার খাবে? সন্ত্রাস রুখতে সব দেশের একজোট হওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তুলতে চিন আগ্রহী, এই দাবি করা যাবে না?