ঢাকা: রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় (UNGA)-য় ঐতিহাসিক প্রস্তাব গৃহীত হল। এই প্রস্তাবে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ করা হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি (LDC) পর্যায় থেকে বাংলাদেশকে উত্তরণের প্রস্তাব অনুমোদিত হল রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায়। এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে উন্নীত করা হল। এই উত্তরণ তথা গ্র্যাজুয়েশনের মাণদণ্ড পূরণের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ পাঁচ বছর সময় দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার ৭৬ তম রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার ৪০ তম বর্ধিত অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশকে গ্র্যাজুয়েশনে উত্তরণ ওই দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি মাইল ফলক। ওই দেশ বিগত বছরগুলিতে আর্থ-সামাজিক লক্ষ্য পূরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
২৪ নভেম্বর এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ওই রেজোলিউশন A/76/L.6/Rev.1 বাংলাদেশ, নেপাল ও লাও ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিকের মতো দেশগুলিকে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় থেকে উত্তরণ সংক্রান্ত।
এই প্রস্তাব অনুমোদিত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি বাংলাদেশ। রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবার ফতিমা গত বুধবার ট্যুইট করে বলেছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ঐতিহাসিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাবে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় থেকে উত্তরণ ঘটানো হয়েছে। দেশের স্বাধীনতার ৫০ তম বার্ষিকী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে এর থেকে ভালো খবর আর কী হতে পারত। তা জাতীয় আকাঙ্খা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১-এর লক্ষ্য পূরণ।
তিনটি দেশের স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় থেকে উত্তরণ ঘটবে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমীভাবে শর্ত পূরণের জন্য পাঁচ বছর সময় দেওয়া হয়েছে। (সাধারণভাবে এক্ষেত্রে তিন বছর সময় দেওয়া হয়।) কোভিড ১৯ পরবর্তী পর্বে গ্র্যাজুয়েশনের জন্য প্রস্তুতি নিতে এই সময় দেওয়া হয়েছে। অতিমারীর ধাক্কায় অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা, নীতি ও কৌশল রূপায়ণের ক্ষেত্রে এই দেশগুলিকে এই সময় দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাব মতো পাঁচ বছরের প্রস্তুতি পর্ব শেষে ২০২৬-এ বাংলাদেশের উত্তরণ কার্যকর হবে। স্বাভাবিকভাবেই দেশের উন্নতির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই শিলমোহরে খুশি বাংলাদেশ সরকার।