ওয়াশিংটন: ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে ব্যাটন তুলে দিচ্ছেন বারাক ওবামা। কিন্তু মার্কিন মুলুকে জমানা বদল হলেও ওবামা আমলের মতোই গুরুত্ব পেতে চলেছে ভারত। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জোস আর্নেস্ট জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে ওবামা ও নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে যে হটলাইন বসেছিল, সেটি তিনি হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরও বহাল থাকতে পারে। সেটাই হওয়া উচিত।


ভারত-মার্কিন সম্পর্ক যে কতখানি গভীর, তা বোঝাতে প্রেসিডেন্ট পদে ওবামার আট বছরের মেয়াদ কালে বসা একমাত্র হটলাইন ওটাই। আর্নেস্ট বলেছেন, ওটা না থাকলে অবাকই হব। আসলে কোনও জমানা অবসান হলেই যাতে বন্ধ না হয়ে যায়, তারপরও বহাল থাকে, সেজন্যই এ ধরনের ব্যবস্থা তৈরি হয়।


প্রধান অতিথি হিসাবে সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে উপস্থিত থাকতে ওবামার ২০১৫-র ঐতিহাসিক ভারত সফরের সময়ই ওই হটলাইন বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। সে সময় মোদী বলেছিলেন, দুটি দেশের সর্ম্পকে নতুন গুরুত্ব, লাগাতার নজর দেওয়ার চেষ্টার অঙ্গ হিসাবেই ওই পদক্ষেপ।


ওই হটলাইন বসার পর থেকে মোদী-ওবামা ঘনঘন নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতে থাকেন। তার সামান্যই জনসমক্ষে এসেছে। অন্তত দুজনের একটি কথোপকথন এক ঘণ্টার বেশি চলেছিল বলে জানিয়েছিলেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত।


রাশিয়া, ব্রিটেন, চিনের পর ভারতই একমাত্র দেশ যার সঙ্গে হটলাইন যোগাযোগ আছে আমেরিকার। অন্যদিকে রাষ্ট্রপ্রধান স্তরে এটাই ভারতের প্রথম হটলাইন যোগাযোগ। ২০০৪ সালে বিদেশসচিব স্তরে হটলাইন যোগাযোগ গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত, পাকিস্তান। ২০১০-এ নয়াদিল্লি ও বেজিং বিদেশমন্ত্রক স্তরে হটলাইন সম্পর্ক তৈরির কথা ঘোষণা করে।