ইসলামাবাদ: পূর্বসূরিদের সঙ্গে একসারিতে নিজেকে বসাতে চাননি। বরং পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন করে ইতিহাস লিখতে চেয়েছিলেন। ক্ষমতাচ্যূত হয়ে তাই নিজেই আলাদা উপাখ্যানের রচনা করলেন ইমরান খান (Imran Khan)। আস্থাভোটের মাধ্যমে অপসারিত প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক (Pakistan Political Crisis) ইতিহাসের সূচনা ঘটিয়ে ফেললেন তিনি।  


নিজে আলাদাই ইতিহাস রচনা করলেন ইমরান


১৯৪৭ সাল থেকে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে এ যাবৎ পাকিস্তানের কোনও প্রধানমন্ত্রীই কার্যকালের মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারেননি। কিন্তু আস্থাভোট করিয়ে কাউকে উপসারণের নজির এতদিন ছিল না।  তাই আক্ষরিক অর্থেই ইতিহাস রচনা করলেন ইমরান।


পাকিস্তানে আস্থাভোটে পরাজিত হয়ে গদি ছাড়তে হল ইমরানকে


শনিবার দিনভর নাটকীয় উত্থান-পতনের পর মধ্যরাতে ক্ষমতাচ্যূত হন ইমরান। তাঁর অপসারণের সপক্ষে ১৭৪ জন ভোটদান করেন। ভোটাভুটির সময় ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে উপস্থিত ছিলেন না ইমরান। তাঁর দলের কোনও প্রতিনিধিকেও সেখানে দেখা যায়নি। তা নিয়েও ইমরানকে কটাক্ষ করেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান বিলাবল ভুট্টো। তিনি বলেন, "প্রথম এমন অধিনায়ক দেখলাম ম্যাচ হারার ভয়ে যিনি উইকেট হাতে নিয়ে পিচ ছেড়ে পালালেন।"



ইমরানকে কটাক্ষ করে বিলাবল আরও বলেন, "পুরনো পাকিস্তানে আপনাদের সকলকে স্বাগত। গত তিন বছরে অনেক কিছু শিখেছি। স্বপ্ন দেখার অভ্যাস কখনও ছাড়বেন না। কোনও কিছুই অসম্ভব নয়।" ইমরানের পতনে দেশে গণতন্ত্র ফিরেছে বলে দাবি বিরোধীদের। সেই প্রসঙ্গে বিলাবল বলেন, "গণতন্ত্রের চেয়ে বড় প্রতিহিংসা হতে পারে না।"


আস্থাভোটে পরাজিত হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ত্যাগ করেন বলে জানা গিয়েছে। তার পর থেকে আর সংবাদমাধ্যম বা নেটমাধ্যমে সাধারণের মুখোমুখি হননি ইমরান। এই মুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক জীবন নিয়েও জল্পনা চলছে।