পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশন তাদের বার্ষিক রিপোর্টে জোর করে হিন্দু ও খ্রিস্টান মেয়েদের ধর্ম বদল ও বিয়ে দেওয়ার একাধিক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশের কয়েক মাস বাদে প্রস্তাবটি পাশ হল অ্যাসেম্বলিতে। গত বছর শুধু সিন্ধ থেকেই এ ধরনের হাজারখানেক ঘটনার খবর মিলেছে বলে রিপোর্টে জানিয়েছিল কমিশন। গত মার্চে দুই বোন রবীনা (১৩) ও রীনা (১৫) কে হোলির প্রাক্কালে তাদের সিন্ধের ঘোটকি জেলার বাড়ি থেকে একদল প্রভাবশালী লোকজন অপহরণ করে বলে অভিযোগ। তারপর দুবোনের বিয়ে দিচ্ছেন এক মৌলবী, এমন একটি ভিডিও ছড়ায়, যা ঘিরে ব্যাপক আলোড়ন হয়।
প্রস্তাবটি পেশ করে গোকলানি বলেন, গত কয়েক মাসে প্রায় ৪০টি হিন্দু মেয়েকে, যাদের বেশিরভাগই নাবালিকা, ধর্ম বদলাতে বাধ্য করা হয়েছে। এই সভা শিশুবিবাহের বিরুদ্ধে আইন পাশ করেছে। আমাদের সম্প্রদায়ের কিশোরীরা উধাও হয়ে যাচ্ছে। পরে মুসলিম ছেলেদের সঙ্গে কোনও ধর্মস্থানে তাদের বিয়ে হতে দেখা যাচ্ছে।
বলপূর্বক ধর্মান্তরণ ঠেকাতে আগেও বিল এনেছিলেন তিনি। আজ তিনি পরোক্ষে সিন্ধে এই প্রথা বন্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগে শাসক শিবিরকে আক্রমণ করেন। বলেন, এটা আমাদের মাতৃভূমি। পাকিস্তান সৃষ্টির সময় থেকেই আমরা সংখ্যালঘুরা মুসলিম ভাইদের মতোই দেশের প্রতি অনুগত রয়েছি। আমাদের মেয়েদের ধর্মান্তরিত করা হলে আমরা কোথায় যাব? বহু হিন্দু এজন্য পাকিস্তান ছেড়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু আমরা এখানেই বেঁচে থাকতে, মরতে চাই। দয়া করে আমাদের সুরক্ষা দিন, দেশ ছাড়তে বাধ্য করবেন না।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে পাকিস্তানে ৭৫ লক্ষ হিন্দুর বাস।