নয়াদিল্লি: মার্কিন-আফগান যৌথ বাহিনীর অভিযানে খতম ভারতে জন্মানো আল কায়েদা অফ ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট(আকিস) প্রধান আসিম উমর। আফগানিস্তানের হেলমন্দ প্রদেশে তাকে খতম করা হয়েছে বলে জানানো আফগান বাহিনীর তরফে।
মঙ্গলবার আফগান গোয়েন্দা সংস্থা এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, মার্কিন ও আফগান কমান্ডোরা গতমাসে দক্ষিণ আফগানিস্তানে অভিযান চালিয়ে উমরকে খতম করেছে। যদিও, আফগান প্রশাসনের এই দাবির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা খারিজ করেছে তালিবান। গোষ্ঠীর মুখপাত্র কারি মহম্মদ আহমাদি বলেন, এসব কাবুল প্রশাসনের অপপ্রচার মাত্র।
বছর চল্লিশের উমরকে ‘গ্লোবাল টেররিস্ট’ বা বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী বলে ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তার আগে ২০১৬ সালে আকিস-কে বিদেশি জঙ্গি সংগঠনের তালিকাভুক্ত করেছিল তারা। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে আকিস গঠিত হয়। সেই সময় থেকেই এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিল উমর।
নিজেদের বক্তব্যের প্রমাণ হিসেবে আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা ডিরেক্টরেট (এনডিএস) উমরের জীবিত অবস্থার ছবি ও নিহত হওয়ার পর ছবি শেয়ার করে। সেখানে তারা জানায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর হেলমন্দের মুসা কালা জেলায় আকিস-এর ডেরায় অভিযান চলায় মার্কিন-আফগান কমান্ডোদের যৌথবাহিবী।
সেখানেই ৬ সঙ্গী সহ নিহত হয় উমর। আফগান গোয়েন্দা রিপোর্টের দাবি, উমরের সঙ্গে খতম হওয়া ৬ সঙ্গীরা সকলেই পাকিস্তানি। এর মধ্যে রয়েছে রায়হান যে উমর ও আল-জাওয়াহিরির মধ্যেকার ‘কুরিয়্যার’ বা বার্তাবাহক হিসেবে নিযুক্ত ছিল।
কে এই আসিম উমর?
উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলায় জন্ম আসিম উমরের। আসল নাম সানা-উল হক। ১৯৯১ সালে দেওবন্দের দারুল উলুম থেকে স্নাতক সম্পূর্ণ করে উমর। পরে পাকিস্তানে গিয়ে সেখানে নৌশেরার হক্কানিয়া দারুল উলুমে পড়াশোনা করে। প্রসঙ্গত, এই প্রতিষ্ঠান ‘জেহাদের বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে কুখ্যাত।
একটা সময়ে পাকিস্তানের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকত-উল-মুজাহিদিনের সদস্য ছিল উমর। ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বত্র এই গোষ্ঠীর শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে ছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৪ সালে করাচিতে পাক রণতরীকে হাইজ্যাক করার পরিকল্পনার নেপথ্যে মুল চক্রী ছিল উমর। ওই হামলায় পাক আধা-সামরিক বাহিনীরক ১০ সদস্য নিহত হন ও আরও ১৫ জন আহত হয়েছিলেন।