রাষ্ট্রপুঞ্জ: এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২০১৬ সালে যত এইচআইভি সংক্রমণ হয়েছে, তার ৯৫ শতাংশই ভারত, চিন, পাকিস্তান সহ ১০টি দেশে। রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি রিপোর্টে এমনই বলা হয়েছে। অন্যান্য দেশগুলি হল ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মায়ানমার, পাপুয়া নিউগিনি, ফিলিপিন্স, তাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া।


তবে এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ৬ বছরে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নতুন করে এইচআইভি সংক্রমণের শিকার হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা প্রতি বছর ১৩ শতাংশ করে কমে গিয়েছে। ২০১০ সালে যেখানে এই অঞ্চলে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩,১০,০০০, সেটা ২০১৬ সালে কমে হয়েছে ২,৭০,০০০। এইচআইভি আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মানুষ চিকিৎসার সুযোগ নিচ্ছেন। ২০০৫ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে এইডসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেক কমে গিয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে যাতে এইচআইভি আক্রান্ত ৯০ শতাংশ মানুষ তাঁদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন এবং চিকিৎসা করাতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য।

একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এইচআইভি আক্রান্তদের অধিকাংশই যৌনকর্মী বা নিয়মিত যৌনপল্লীতে যাতায়াত করা ব্যক্তি, সমকামী পুরুষ, মাদক সেবনকারী এবং লিঙ্গ পরিবর্তনকারী। ভারতের ২৬টি শহরের ৪১ শতাংশ এইচআইভি আক্রান্তই মাদক সেবনকারী।

ইউএনএইডস এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর মিশেল সিডিবি বলেছেন, ২০১৫ সালে দেড় কোটি এইচআইভি আক্রান্ত মানুষকে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা তাঁদের লক্ষ্য ছিল। ২০২০ সালের মধ্যে তিন কোটি মানুষের চিকিৎসা করা তাঁদের লক্ষ্য। এইচআইভি আক্রান্ত একজনও যাতে চিকিৎসার আওতার বাইরে না থাকেন, সেটা নিশ্চিত করতে চান তাঁরা।

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এইচআইভি আক্রান্তদের চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হলেও, পশ্চিম এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় সাফল্য পাওয়া যায়নি। আলজেরিয়া, মরক্কো ও বেলারুশ ছাড়া বাকি দেশগুলিতে এইডস সংক্রান্ত মৃত্যু বেড়েছে। সারা বিশ্বে ৩০ শতাংশ এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেদের রোগের অবস্থা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।