ইসলামাবাদ: সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আমেরিকার কাছে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে পাকিস্তান। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সরকারি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে,  পাকিস্তান এমন এক দেশ যা সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। সেখানে জঙ্গিরা অবাধে লালিত-পালিত হয়। এখানে ঘাঁটি গেড়ে অন্য দেশে হামলাও চালায় জঙ্গিরা। মার্কিন রিপোর্টে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের বিশ্বাসযোগ্যতাই সারা বিশ্বে প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। আমেরিকার কাছে ধমক খাওয়ার পর এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলের মরিয়া চেষ্টা শুরু করল ইসলামাবাদ। তাদের দাবি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ব্যাপারে পাকিস্তান সম্পূর্ণ দায়বদ্ধ। ইসলামাবাদের সাফাই, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা সাফল্য পেয়েছে। এ কথা আমেরিকা সহ অনেক দেশই স্বীকার করেছে।


পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র নাফিস জাকারিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনের সুরে বলেছেন, দেশের অনেক উপদ্রুত এলাকা থেকে সফলভাবে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করা হয়েছে।আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি দল পাক সফরে এসে ওই এলাকাগুলিতেও গিয়েছে।

উল্লেখ্য, দুদিন আগেই মার্কিন বিদেশ বিভাগের বার্ষিক 'কান্ট্রি রিপোর্ট অন টেররিজম'-এ সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানকে কার্যত তুলোধুনো করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফগান তালিবান বা হক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পাকিস্তান। এতে আফগানিস্তানে মার্কিন স্বার্থ যথাযথভাবে সুরক্ষিত হয়নি।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি ইসলামাবাদ। মুম্বই হামলার মূলপাণ্ডা হাফিজ সইদকে পাকিস্তানে প্রকাশ্যে জনসভা করতেও দেখা গিয়েছে।

মার্কিন বিদেশ দফতরের এই রিপোর্টের প্রতিক্রিয়ায় জাকারিয়া বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সম্পূর্ণ দায়বদ্ধ পাকিস্তান এবং জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

জাকারিয়া ভারতের দিকেও তোপ দেগেছেন। তাঁর দাবি, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী, নিয়ন্ত্রণ রেখা ও কার্যকরী সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘণের ঘটনা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের পর্যবেক্ষক দলকে ভারত সাহায্য করেনি।

এ বিষয়ে ভারতের সাফ বক্তব্য, সিমলা চুক্তি এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা গঠনের পর রাষ্ট্রপুঞ্জের পর্যবেক্ষক দলের ভূমিকা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে।