ওয়াশিংটন: চিন, পাকিস্তানকে নিরাশ করল আমেরিকা। দুই বন্ধু একযোগে পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী (নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপ)-তে সদস্য হিসাবে ভারতের অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে মরিয়া। কিন্তু ওয়াশিংটন স্পষ্ট জানিয়ে দিল, এনএসজি-তে ঢোকার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার শর্তগুলি ভারত ভালভাবেই পূরণ করেছে। তাই সেই গোষ্ঠীতে পা রাখার জন্য তৈরি ভারত। কোনও বাধা নেই ভারতের সামনে।


 

এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তি রুখতে চিন, পাকিস্তানের হাত মেলানো প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৫ সালেই ভারত সফরকালে প্রেসিডেন্ট যা বলেছিলেন, সেদিকেই আপনাদের নজর টানতে চাইছি। তিনি স্পষ্ট করেছিলেন, আমেরিকা এটাই মনে করে যে, ভারত ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর চাহিদা, শর্তগুলি পূরণ করেছে এবং এনএসজি সদস্যপদ পাওয়ার জন্য তৈরি। তিনি এও বলেন, চিন ও পাকিস্তান সরকার ভারতের সদস্যপদের দাবির ব্যাপারে কী বলেছে, সেটাও আপনারা দেখুন। নতুন দেশের এনএসজি-তে যোগদানের ব্যাপারে আলোচনাটা ওই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সদস্যদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।

 

 

এদিকে এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তিতে চিনের আপত্তি সমর্থনে সওয়াল করে সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাংয়ের দাবি, ৪৮ দেশের ওই ব্লকের অনেক সদস্য দেশই তাঁদের এই অবস্থানের সঙ্গে একমত যে, এনএসজি-তে নতুন সদস্য ঢুকিয়ে তার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে পরমাণু প্রসার রোধ চুক্তিতে (এনপিটি) স্বাক্ষর করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। একা চিন নয়, এনএসজি-র অন্য অনেক সদস্য দেশও মনে করে, আন্তর্জাতিক পরমাণু প্রসার রোধ কাঠামো টিঁকিয়ে রাখার ভিত্তি হল এনপিটি।

 

প্রসঙ্গত, ভারত, পাকিস্তান, ইজরায়েল ও দক্ষিণ সুদান—রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্য এই চার দেশ এনপিটি-তে সই করেনি।

 

গত মাসে পাক প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সংক্রান্ত উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ জানিয়েছিলেন, ভারতের এনএসজি-র সদস্যপদ পাওয়া রুখে দিতে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে চিন।