টোকিও: ভারত ও জাপানের মধ্যে ঐতিহাসিক অসামরিক পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হল।
বর্তমানে জাপান সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন রাজধানী টোকিওতে জাপ প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়। এরপরই চুক্তি স্বাক্ষর করেন দুদেশের প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ভারতে মার্কিন সংস্থার পরমাণিক বিদ্যুৎ চুল্লি নির্মাণের জন্য পরিকাঠামোগত সহযোগিতার বিষয়গুলি উত্থাপিত হয়।
এর আগেই, গত ডিসেম্বরে জাপ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময়ই অসামরিক পরমাণু চুক্তির ক্ষেত্রে বৃহত্তর ঐকমত্যে পৌঁছালেও কিছু জায়গায় দ্বিমত থাকায় সেই সময় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।
চুক্তির পরই বিদেশমন্ত্রকের তরফে টুইট করা হয়। লেখা হয়, স্বচ্ছ, সবুজ বিশ্বের দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের ঐতিহাসিক চুক্তি।
আরও পড়ুন:
ভারতকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় খোলা অর্থনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাই লক্ষ্য:মোদী
এই চুক্তির ফলে, ভারতে পরমাণু প্রযুক্তি রফতানি করতে পারবে জাপান। প্রসঙ্গত, ভারতই হল পরমাণু অস্ত্রপ্রসার রোধ চুক্তি (এনপিটি) স্বাক্ষর না করা প্রথম দেশ যাদের সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর করল জাপান।
কূটনৈতিক মহলের মতে, এর থেকেই পরিষ্কার, দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা কতটা রয়েছে। এই চুক্তির ফলে, দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সম্পর্ক আরও বলিষ্ঠ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, এই চুক্তির বিরুদ্ধে খোদ জাপানের মধ্যেই রাজনৈতিক বাধার সম্মুখীন হতে হয় অ্যাবে প্রশাসনকে। বিশেষ করে, ২০১১ ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিপর্যয়ের পর।
আরও পড়ুন:
জাপান পৌঁছলেন মোদী, পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের আশা
আন্তর্জাতিক মহলের মতে, পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশের নিরিখে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম হল জাপান। তাই এই চুক্তির ফলে, ভারতে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করার সুবিধা হবে মার্কিন সংস্থার। কারণ, ওই সংস্থাগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া রয়েছে জাপানের।
জাপানের আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, ফ্রান্স, নামিবিয়া, আর্জেন্টিনা, কানাডা, কাজাখস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও অসামরিক পরমাণু চুক্তি রয়েছে ভারতের।