রবিবারই চিন বিবৃতিতে দিয়ে বলেছিল, পরমাণু প্রসার রোধ চুক্তিতে (এনপিটি) সই না করা দেশগুলিকে সদস্য করার ব্যাপারে নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপের সদস্যরা এখনও দ্বিধাবিভক্ত। এ নিয়ে আরও বিশদে আলোচনা দরকার বলে অভিমত জানায় চিন। ঘটনাচক্রে চিনের মত হল, এনপিটি-তে সই না করলে কোনও দেশকেই এনএসজি-তে ঢুকতে দেওয়া ঠিক হবে না কেননা তাতে পরমাণু প্রসার রোধের প্রচেষ্টা ধাক্কা খাবে।
সামনেই ২৪ জুন সিওলে এনএসজির প্লেনারি বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কূটনৈতিক সফরে অর্ধেক পৃথিবী সফর করলেন। এনএসজি-তে তাঁর দেশের অন্তর্ভুক্তির জন্য সমর্থন জোগাড় করাই ছিল সফরের মূল লক্ষ্য, বলা হয়েছে চিনা দৈনিকটিতে। তারা এও বলেছে, ভারতের সদস্যপদের দাবিকে আমেরিকা ও আরও কিছু দেশ সমর্থন করেছে বটে, তবে বেশিরভাগ দেশের থেকে, বিশেষত চিন, আপত্তি এসেছে বলে শোনা যাচ্ছে। এতেই রেগে উঠেছে ভারত। চিনা সরকারি মিডিয়ায় এক ধাপ এগিয়ে বলা হয়েছে, ভারত যেন পরমাণু উচ্চাকাঙ্খায় অন্ধ না হয়ে বসে!
চিনা সংবাদপত্রটি বলেছে, ভারত ও পাকিস্তান দুজনেই পরমাণু শক্তিধর। উভয়েই পরস্পরের পরমাণু শক্তিভাণ্ডারের দিকে নজর রাখে। সেই প্রেক্ষাপটে ভারত এনএসজি-র সদস্য হওয়ার আবেদন করায় তার চিরাচরিত প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানে অবশ্যই উত্তেজনা বাড়বে। পাকিস্তান যেহেতু চায় না যে, ভারতের সঙ্গে তার পরমাণু শক্তির ফারাক বেড়ে যাক, তাই এর ফলে পরমাণু প্রতিযোগিতা মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। এতে শুধু আঞ্চলিক নিরাপত্তাই বিঘ্নিত হবে না, চিনের জাতীয় স্বার্থও মার খাবে।