ইসলামাবাদ: ২০১৮-র ডিসেম্বরের মধ্যে ভারত-পাক সীমান্ত সিল করে দেওয়ার ব্যাপারে সংকল্পের কথা ইসলামাবাদকে সরকারিভাবে জানায়নি দিল্লি। এমনটাই দাবি করল পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়েছেন, ২০১৮-র ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত পুরোপুরি সিল করে দেবে ভারত। সে ব্যাপারে পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রর দাবি, তাঁদের কাছে এ ব্যাপারে বিশদ তথ্য নেই। তাঁর অভিযোগ, ভারত সরকার মুখে প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির কথা বলছে, অথচ কাজের বেলায় করছে ঠিক উল্টোটা। ২০০৭-এর সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণে পাকিস্তানিরাই বেশি মারা যান অথচ ভারত এখনও সেই বিস্ফোরণের তথ্য পাকিস্তানকে দেয়নি। যদিও দিল্লি কথা দিয়েছিল, এ ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য ইসলামাবাদকে হস্তান্তর করবে তারা।


পাক বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য, কাশ্মীর নিয়ে হইচই চালিয়েই যাবে পাকিস্তান। ইউরোপ, ব্রিটেন, আমেরিকা ও স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশগুলিতে এ ব্যাপারে প্রচার চলবে তাদের। সেই ‘ভয়েই’ ভারত মরিয়া হয়ে উঠে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তাদের দাবি।

কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার ‘অত্যাচার’ থেকে চোখ সরানোর জন্য ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ‘মিথ্যে গল্প’ ফেঁদেছে বলেও পাক বিদেশমন্ত্রক দাবি করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণ দেওয়া হবে না বলে যে ঘোষণা করেছেন, সে সম্পর্কে পাকিস্তানের বক্তব্য, এর ফলেই প্রমাণ কীরকম নির্জলা ‘মিথ্যে’ বলেছে ভারত।

দিল্লির কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ইসলামাবাদের উপমহাদেশে একঘরে হয়ে পড়ার খবরও অস্বীকার করেছে তারা। তাদের বক্তব্য, পাকিস্তান কোনওরকম আন্তর্জাতিক নিঃসঙ্গতার মধ্যে নেই, বিশ্বের কাজকর্মে তাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। পাকিস্তানের কৌশলগত অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আরও বেশিসংখ্যক রাষ্ট্র তাই পাকিস্তানের সঙ্গে নানা বিষয়ে আদানপ্রদান চাইছে। এই প্রসঙ্গে তারা ইরান ও রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছে।