জাকার্তা: শুক্রবার রাতে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া। রিখটার স্কেলে ৬.২ মাত্রার এই ভূমিকম্পে জখম শতাধিক। আহতদের অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।   মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪০ জনের। পশ্চিম সুলাওয়েলির মামুজু জেলার ৩৬ কিমি দক্ষিণে মাটির ১৮ কিমি গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল।
তীব্র কম্পনে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। বহু মানুষই নিখোঁজ। তাদের অনেকেই ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়েছে বলে আশঙ্কা।  আটকদের উদ্ধার করতে জোরকদমে চলছে উদ্ধার অভিযান।    সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, মামুজু হাসপাতাল ধূলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। রোগী ও কর্মী সহ ১২ জনের বেশি ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়েছেন।
উদ্ধারকারী সংস্থার আরিয়ান্টো সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, হাসপাতালটাই মাটিতে মিশে গেছে।
একটি ভেঙে পড়া বাড়ির আটজন সদস্য ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়েছেন। ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে আটকদের বের করে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। একটি হোটেলও আংশিকভাবে ধসে পড়েছে। গর্ভনরের অফিসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ভেঙে যাওযা বাড়ির ধ্বংসস্তুপে আটক সন্তানদের বাঁচাতে সাহায্যের আর্তি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন এক ব্যক্তি। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, ওরা ভেতরে আটকে পড়েছে। দয়া করে সাহায্য করুন।

ভূমিকম্প ঘরবাড়ি ভেঙে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। জানা গেছে, কয়েক হাজার মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া বিভাগ পরবর্তী কম্পন ও সুনামির সতর্কতা জারি করেছে। সেজন্য সমুদ্র সৈকত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আড়াই বছর আগেই ইন্দোনেশিয়াতে আঘাত হেনেছিল একটি বড়সড় ভূমিকম্প ও বিধ্বংসী সুনামি। এই বিপর্যয়ে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, গভীর রাতে যখন ভূমিকম্প হয়, তখন অনেকেই সমুদ্রের ধারে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্ত অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতে মাটি ধসের কারণে তাঁদের সেই রাস্তা বন্ধ করে দেয়। প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপন্ন মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছোটাছুটি করতে থাকেন।