বেজিং: কোনওদিন করোনা শূন্য হবে না পৃথিবী। ভাইরাসে উৎপত্তিস্থল চিনে গিয়ে এমনটাই পর্যবেক্ষণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের। দিন কয়েক আগে চিনে গিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা। সেখানেই একথা জানান তাঁরা। শুধু তাই নয়, প্রতিনিধি দলের মধ্য দুজন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

চিনের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রযুক্তি শাখার প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখোভে বলেন, বিশ্ব কখনও রোগী শূন্য হবে না। চিন সহ সারা বিশ্বের উপর নজরদারির কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এদিকে চিনে যাওয়ার পর প্রতিনিধি দলের দুজনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। আপাতত কোয়ারান্টিনে আছেন হু-এর প্রতিনিধিরা।
২০১৯ সালের শেষ দিকে করোনা প্রথম হানা দেয় চিনের উহানে। এখনও পর্যন্ত করোনায় এখনও পর্যন্ত বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ২০ লক্ষ ৬ হাজার ৬১১ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৩৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭২৫।

হুনান সি ফুড মার্কেট বা উহানের ভাইরোলজি ইনস্টিটিউট থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে জল্পনা তৈরি হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল খতিয়ে দেখতে সেখানো হাজির হয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা। এদিকে চিনে ফের হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস। গত সপ্তাহে দেশের মূল ভূখণ্ডে সোমবার নতুন করে ৫৫ জনের কোভিড-১৯ সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪২ জনেরই সংক্রমণ ঘটেছে স্থানীয়ভাবে। কমিশন জানিয়েছে, আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছে, এমন ২৭,৮৩০ জনকে মেডিক্যাল পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য কোভিড ১৯-এর দ্বিতীয় বছর আরও বেশি ভয়ানক হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে হু। হু-এর স্বাস্থ্য জরুরি ব্যবস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাইকেল রায়ান বলেন, প্রথম বছরের তুলনায় দ্বিতীয় বছর আরও ভয়ানক রূপ ধারণ করতে পারে মারণ ভাইরাস। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, ‘’২০২১ সালে জনসংখ্যাগত ভাবে অনাক্রমতা বা কঠোর অনাক্রমতা তৈরি হবে না। তাই করোনাবিধি মেনে চলতে হবে। শারীরিক দূরত্ব, হাত ধোওয়া, মাস্ক পরতে হবে।“ দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফেরা নিয়ে সতর্ক হতে বলেছেন তিনি।