জাকার্তা: শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনে দোষী সাব্যস্তদের পায়ে মাইক্রোচিপ লাগানোর কথা ভাবছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। সম্প্রতি একটি ১৪ বছরের মেয়েকে গণধর্ষণ করে খুনের নৃশংস ঘটনায় তীব্র জনরোষ তৈরি হয়েছে সে দেশে। সুমাত্রা দ্বীপের বাসিন্দা মেয়েটি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে একদল মাতাল ও কিছু নাবালকের খপ্পরে পড়ে। নিখোঁজ মেয়েটির ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া যায়, বনের ভিতর থেকে নগ্ন, হাত পা বাঁধা অবস্থায়। ১৬-১৭ বছর বয়সি সাতটি ছেলেকে এ সপ্তাহেই জেলে পোরা হয়েছে এ ঘটনায়। গ্রেফতার হওয়া পাঁচজন রয়েছে বিচারের অপেক্ষায়।

 

 

ঘটনাটি এপ্রিলের। কিন্তু সোস্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে হইচই শুরু হয় কয়েকদিন আগে। যৌন নিগ্রহের সাজা কী হওয়া উচিত, সে ব্যাপারে পুরোদমে চলছে বিতর্ক। দাবি উঠেছে, ধর্ষণে আরও কঠোর সাজা হওয়া উচিত। ঘটনাটির সঙ্গে তুলনা টানা হচ্ছে ২০১২-র নির্ভয়াকাণ্ডের।

 

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো কঠোরতর সাজার বিধি সম্বলিত ডিক্রি জারির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ধর্ষণের মতো অপরাধ মোকাবিলায় অপরাধীর পায়ে-গোড়ালিতে মাইক্রোচিপ লাগানোর কথা যে ভাবা হচ্ছে, সে কথা জানিয়েছেন দেশের ন্যয় মন্ত্রকের মুখপাত্র।

 

ইন্দোনেশিয়ার সরকারের সমর্থনপুষ্ট ন্যাশনাল কমিশন ফর চাইল্ড প্রটেকশন-এর প্রধান আসরোরুন নিয়াম সোলে বলেছেন, জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার আগে অপরাধীদের পায়ে মাইক্রোচিপ লাগানো হবে। মুক্তি পাওয়ার পর তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হবে তার মাধ্যমে।

তবে শুধু মাইক্রোচিপ নয়, শিশু ধর্ষণকারীদের রাসায়নিক ইঞ্জেকশন দিয়ে লিঙচ্ছেদ করা, তাদের আরও বেশি মেয়াদের কারাবাস—এমন শাস্তির ব্যবস্থাও রাখা হতে পারে।

গত বছরই বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার জেরে সরকার রাসায়নিক প্রয়োগ করে অপরাধীর লিঙ্গচ্ছেদ করা শুরু হবে বলে জানিয়েছিল সরকার। কিন্তু তার বাস্তবায়ন শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে যায়।