সোমবার সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি পর্যালোচনা করতে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতে ঠিক হয়, ঝিলাম, চেনাব ও সিন্ধুর বেশিরভাগ জল পাকিস্তানে পড়লেও ভারত এবার থেকে নিজেদের ভাগের জল পুরোপুরি ব্যবহার করবে। দিল্লির এই সিদ্ধান্তে প্রচণ্ড চাপে পড়েছে ইসলামাবাদ, কারণ, এতদিন সে দেশ থেকে ভারতে সন্ত্রাসবাদের খোলাখুলি রফতানি চললেও বিশেষ কোনও কড়া প্রতিক্রিয়া দিল্লির তরফ থেকে কখনওই আসেনি। উল্টে দিল্লির দাক্ষিণ্যে ভর করে ভারত থেকে আসা ওই ৩ নদীর জল যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে তারা, পাকিস্তানের সম্পূর্ণ চাষবাসই নির্ভর করছে এই জলের ওপর। সেখানে ভারত যদি জলবণ্টন চুক্তি মেনেই তাদের পক্ষের জল সম্পূর্ণ ব্যবহার করে, পাকিস্তানে জলের স্রোত স্বাভাবিকভাবেই কমে যাবে। তাই মঙ্গলবারই পাকিস্তান বিশ্বব্যাঙ্কে গিয়ে এ ব্যাপারে নালিশ জানিয়েছে।
তবে এত উদ্বেগের মধ্যেও কাশ্মীর নিয়ে মাথা ঘামানো বন্ধ করেনি পাকিস্তান। শরিফ বলেছেন, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার চাওয়ার জন্য কাশ্মীরীদের ওপর যে 'দমনপীড়ন' চলছে, তা কখনওই সহ্য করা হবে না। 'নির্যাতিত' কাশ্মীরীদের পক্ষে শুধু পাকিস্তান নয়, গোটা বিশ্ব রয়েছে।
তাঁর আরও দাবি, আন্তর্জাতিক বিশ্বে শান্তিপ্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তান 'অসামান্য বলিদান' দিয়েছে। মারাত্মক উসকানির মুখেও ইসলামাবাদ অসাধারণ সংযমের নিদর্শন রেখেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।