তেহরান: ভাল নাম ফতেমা খিসবন্দ। তবে সারা বিশ্বের মানুষ চেনে সাহার টাবর নামে। তাঁকে যাতে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মতো দেখতে লাগে, সেই উদ্দেশে ৫০টিরও বেশি সার্জারি করিয়েছিলেন। যদিও অস্ত্রোপচারের সুফল পাননি সাহার। বরং বিকৃত হয়ে যায় তাঁর চেহারা। অনেকে তাঁকে ‘জম্বি অ্যাঞ্জেলিনা’ বলে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরাধমূলক এবং অনৈতিক কাজকর্মে জড়িত থাকার অপরাধে ইরানে জেলবন্দি ছিলেন। সেখানেই এবার তাঁর শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গেল। তাঁকে হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।


সাহারের হয়ে জোরাল সওয়াল করেছেন ইরানের মানবাধিকার কর্মীরা। তাঁদেরই একজন পায়াম ডেরাফশান বলেছেন, ‘এই রকম পরিস্থিতিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ওই তরুণী আর তাঁকে আটক করে রাখার মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। এটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।’

করোনার প্রাদুর্ভাবে জেরবার ইরান। রোগের প্রকোপ ঠেকাতে গত মাসেই ৮৫ হাজার জেলবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যদিও জেল কর্তৃপক্ষ সাহারের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সত্যতা নিয়ে কিছু জানায়নি। ডেরাফশান বলেছেন, এবার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া উচিত জেল কর্তৃপক্ষের।

অনৈতিকভাবে অর্থ উপার্জন ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে অগাস্ট মাস থেকে কারাবাসে সাহার। অ্যাঞ্জেলিনার মতো চেহারা ও রূপ পেতে তিনি একের পর এক প্লাস্টিক সার্জারি করান। ২০১৮ সালে তিনি প্রথম ইনস্টাগ্রামে অস্ত্রোপচারের পরের ছবি পোস্ট করেন। যদিও তাঁর সেই সমস্ত ছবির বেশিরভাগই এডিট করা বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে।