তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মহল আমাদের বিশ্বাস করে না। আমরা বলছি, ওরা (ভারত) কার্ফু চাপিয়ে দিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের লোকজনকে ওষুধপত্র দিচ্ছে না। কিন্তু সবাই আমাদের কথায় বিশ্বাস না করে ওদের করছে।
তিনি আরও বলেছেন, দেশের শাসক অভিজাত সম্প্রদায় পাকিস্তানকে শেষ করে দিয়েছে। এ দেশের শাসক শ্রেণি দেশের সুনাম নষ্ট করেছে। মানুষ ভাবে, আমরা দায়িত্বশীল রাষ্ট্র নই। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ-সবাই কি শাসক এলিট শিবিরেরই অংশ, প্রশ্ন করা হলে এই প্রাক্তন গোয়েন্দা এজেন্সি প্রধান বলেন, সবাই দায়ী। পাকিস্তানের এখন আত্মানুসন্ধান করা উচিত।
জনৈক ট্যুইটার ব্যবহারকারী সাক্ষাত্কারের একটি অংশ পোস্ট করেছেন।
পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন তিনি। নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে ইজাজ বলেছেন, যারা অতীতে একসময় আফগানিস্তানে লড়াই করেছে, এই সন্ত্রাসবাদীরা তারাই।
মাসখানেক আগে ইমরানও বলেন, প্রায় ‘৩০-৪০ হাজার’ জঙ্গি পাকিস্তানে আছে যারা ‘আফগানিস্তান বা কাশ্মীরের কোথাও না কোথাও’ প্রশিক্ষণ পেয়ে লড়াই করেছে। ইমরানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সরকার সন্ত্রাসবাদীদের কবল থেকে মুক্তির জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও জয়েশ-ই-মহম্মদ প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনও পদক্ষেপেরই উল্লেখ করতে পারেননি। পিটিআই সরকার সব নিষিদ্ধ সংগঠনকে মূল স্রোতে নিয়ে আসবে, ওদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বলেও জানান তিনি। বলেন, আমরা নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার লোকজনকে বুঝিয়ে মূলস্রোতে নিয়ে আসার জন্য লাখ লাখ টাকা ঢেলেছি।
ভারত জম্মু ও কাশ্মীরকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় জেলখানায় পরিণত করেছে’ বলে জেনিভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশনের ভাষণে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির দাবির পরদিনই পাক অভ্যন্তরীণমন্ত্রীর এই বিস্ফোরক মন্তব্য। কুরেশির অভিযোগের পাল্টা ভারত বলেছে, যে দেশ ‘বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর’, যারা সীমান্তপার সন্ত্রাসবাদকে একটা কূটনীতি করে তুলেছে, তাদের দিক থেকে জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে একটা ‘অতিরঞ্জিত ভাষ্য’ প্রচার করা হচ্ছে!