নয়াদিল্লি: ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইরান (Iran)। ইরানের বাহিনী ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডের প্রয়াত জেনারেল কাসিম সোলেইমানির (Qassem Soleimani) স্মৃতিসৌধ চত্বরে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন এই বিস্ফোরণ হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা অনুযায়ী, শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অন্তত ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম শতাধিক। এদিন কাসিম সোলেইমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। আল জ়াজ়িরা সূত্রের খবর, এই ঘটনায় মৃতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। একটি সূত্রের খবর, পরপর ২টি বিস্ফোরণ ঘটেছে। পরে আরও একটি বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছে যেটি ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী নিষ্ক্রিয় করেছে।
ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থার তরফে বিস্ফোরণের (Iran Explosion) কারণ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। একটি ভিডিওতে দেখানো হয়েছে মৃত ও আহতদের নিয়ে যাওয়ার জন্য বহু সংখ্যায় অ্যাম্বুল্যান্স আনা হয়েছে ওই এলাকায়। ওই সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের পরে হুড়োহুড়ির কারণে পদপিষ্ট হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।
আল জাাজিরা সূত্রের খবর, ইরানের সরকারি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, মৃতদের তালিকা পরে অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। ইরানের বিচারব্যবস্থার প্রধান Gholam Hossein Mohseni-Ejei কড়া নিন্দা করেছেন এই ঘটনার। যারা এই ঘটনায় দায়ী তারা কড়া শাস্তি পাবে বলেও মন্তব্য করেছেন।
কী কারণে এই বিস্ফোরণ, কোনও দুর্ঘটনা নাকি কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কে কাসিম সোলেইমানি?
ইরানে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি কাসিম সোলেইমানি (Qassem Soleimani)। ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডে (Islamic Revolutionary Guard Corps)-এর Quds Force-এর প্রধান ছিলেন। ১৯৯৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন তিনি। বাগদাদ বিমানবন্দরে আমেরিকার বিমানহানায় মৃত্যু হয় তাঁর। ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডের একটি শাখা Quds Force, যা সিরিয়া-ইরাকে যুদ্ধ করেছে। গোটা পশ্চিম এশিয়ার (West Asia) ইরানের প্রভাব বিস্তারের পিছনে কাসিম সোলেইমানির বিশেষ ভূমিকা ছিল। ওই এলাকায় ইজরায়েল ও সৌদি আরবের মাথাব্যথার কারণ ছিলেন তিনি। লেবাননের (Lebanon) হেজবোল্লা, সিরিয়ার (Syria) আল-আসাদ এবং ইরাকের শিয়া যোদ্ধাদের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক মজবুত করার পিছনে আসল মস্তিস্ক ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Metaverse-এ গণধর্ষণ কিশোরীকে, কাঠগড়ায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ, শুরু হল তদন্ত