তেহরান: তেহরানে জোড়া হামলা চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যা করেছে যে ৫ জন আইএস জঙ্গি, তারা ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস ঘাঁটিতে ছিল। আইএস-এ যোগ দেওয়ার পর তারা দেশ ছেড়ে মসুল ও রাকায় নাশকতা চালায়। আজ এক বিবৃতিতে এমনই জানাল ইরান সরকার। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, ৬ জন জঙ্গি ইরানের পার্লামেন্ট ও প্রয়াত নেতা আয়াতোল্লা খোমেইনির সমাধিস্থলে হামলা চালিয়েছে। কিন্তু আজ ইরান সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ৫ জন জঙ্গি হামলা চালিয়েছে। এই জঙ্গিদের ছবি ও প্রথম নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তেহরানে এই হামলা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়ারও নিন্দা করেছে ইরান। ট্রাম্প বলেছেন, নিহতদের জন্য তাঁরা শোকজ্ঞাপন করছেন। এই ঘটনা দুঃখজনক। কিন্তু এই হামলার জন্য ইরানই দায়ী। সরকার সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে নিজেদের দেশেই হামলার ঝুঁকি থাকে। ইরানে সেটাই হয়েছে। ট্যুইট করে ট্রাম্পের এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ইরানের বিদেশ মন্ত্রী মহম্মদ জাভেদ জারিফ। তাঁর দাবি, হোয়াইট হাউসের এই বক্তব্য বেমানান। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী দেশগুলিই ইরানে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাচ্ছে। ইরান সেই হামলার মোকাবিলা করছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ট্রাম্পের এই মন্তব্যের সমালোচনা করছেন বহু মানুষ। ইরানের গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মাহমুদ আলাভি বলেছেন, জঙ্গিদের তৃতীয় একটি দলও হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল। তবে তার আগেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে কারা যুক্ত ছিল, সেটা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতারও করা হয়েছে। এই জঙ্গি হামলার সঙ্গে সৌদি আরবের যোগ ছিল কি না, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও ইরানের সেনাবাহিনী সৌদি আরবের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ করেছে। ইরানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আত্মঘাতী বিস্ফোরণে অন্তত দু জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। জঙ্গিদের হাতে রাইফেল ও পিস্তল ছিল। খোমেইনির সমাধিস্থলের কাছ থেকে আরও পাঁচ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, তেহরানে হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ মধ্যরাতে আইফেল টাওয়ারের আলো নিভিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্যারিসের মেয়র অ্যানা হিদালগো।