নয়া দিল্লি: নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ইজরায়েল-লেবানন সীমান্ত। হামাসের হামলার প্রত্যাঘাত হিসাবে আকাশপথে আগেই গাজাকে ছাড়খার করে দিয়েছে ইজরায়েল।  এবার স্থলপথে অপারেশনের প্রস্তুতি। গাজা সীমান্তে ইতিমধ্যেই ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর ট্যাঙ্ক। 


এরই মধ্যে মার্কিন টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট (USA President) জো বাইডেন (Joe Biden) জানিয়েছেন, গাজায় ইজরায়েলের দখলদারিত্ব হবে একটি বড় ভুল। সমস্ত প্যালেস্তিনীয়র প্রতিনিধিত্ব করছে না হামাস। তাই আমি এটাও মনে করি যে, ইজরায়েল যদি ফের গাজাকে দখল করার চেষ্টা করে, তবে সেটা ভুল কাজ হবে।  


এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘে ইজরায়েলি দূত জানিয়েছেন, গাজা দখলে দেশটির কোন আগ্রহ নেই। বরং হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য যা যা করা দরকার তা করবে। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের দশম দিনে লেবাননে হেজবোল্লার সামরিক ঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত হেনেছে ইজরায়েল।


নাবলাস, হেবরন, বেথলেহেমে ইজরায়েলি সেনার হাতে পাকড়াও বহু জঙ্গি। হামাসের বিরুদ্ধে প্রথমবার আয়রন বিম লেজার ব্যবহার করল ইজরায়েল।


রাষ্ট্রসংঘে ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান সংবাদসংস্থা সিএনএনকে জানিয়েছে, "আমাদের গাজা দখল করা বা গাজায় থাকার কোন আগ্রহ নেই। তবে যেহেতু আমরা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছি এবং এটাই একমাত্র উপায়, যেমন রাষ্ট্রপতি বাইডেন নিজেই সংজ্ঞায়িত করেছেন হামাসকে নির্মূল করা, তাই আমাদের যা করা দরকার তা করতে হবে। তাদের সামর্থ্য নষ্ট করে দেওয়াটা আমাদের লক্ষ্য।"


সূত্রের খবর, ইজরায়েলকে বার্তা দিলেও আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই হয়ত যুদ্ধবিধ্বস্থ ইজরায়েলে যেতে পারেন বাইডেন।  


যদিও হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আঞ্চলিক সঙ্কট আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় দেশের জন্য সমর্থনের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। তবে বাইডেনের ইজরায়েল ভ্রমণ নিয়ে হোয়াইট হাউসের তরফে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানান হয়নি।                                                                                                             


আরও পড়ুন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েলে যেতে পারেন বাইডেন, গাজা দখল নিয়ে দিলেন কড়া বার্তাও!