নয়াদিল্লি: প্রথমে এক মাসে ১৬০০, তার পর ১৪০০ বলা হলেও, যুদ্ধে নিহতের সংখ্যায় সংশোধন ঘটাল ইজরায়েল। জানাল, প্যালেস্তাইনের হামাস সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১২০০ ইজরায়েলি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে তারা। (Israel Palestine War)


ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিওর হাইয়াত এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। সংবাদমাধ্যমে বলেন, “৭ অক্টোবর থেকে যে গণহত্যা চলছে, তাতে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে ১২০০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।” বৃহস্পতিবারই এই সংশোধিত পরিসংখ্যান সামনে এসেছে বলে জানিয়েছেন লিওর। (Israel Revised Death Toll)


লিওর জানিয়েছেন, আগে যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে প্যালেস্তিনীয়র তরফে যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হওয়া অজ্ঞাতপরিচয় অনেকের দেহও শামিল ছিলেন। দেহের স্তূপ জমেছিল। তাই সকলকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এখন বোঝা যাচ্ছে, মৃতদের সকলে ইজরায়েলি নাগরিক ছিলেন না। তাতেই পরিসংখ্যানে সংশোধন ঘটানো হয়েছে। তবে ২৩৯ জন ইজরায়েলি নাগরিক এখনও হামাসের হাতে পণবন্দি বলেও জানানো হয়েছে।


আরও পড়ুন: Israel Palestine War: প্যালেস্তাইনে দখলদারি ইজরায়েলের, নিন্দা প্রস্তাবের সমর্থনে ভোট দিল ভারত


এই মুহূর্তে পরিসংখ্যান বলছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ১১ হাজার ৭৮ জন প্যালেস্তিনীয় নাগরিক মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫০৬ শিশুও রয়েছে। ১৫০০ শিশু ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের ভূমিকায় সরব হয়েছে একাধিক দেশ। গাজায় যেভাবে আগ্রাসন চালাচ্ছে তারা, যেভাবে হাসপাতালে বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, ড্রোন এবং স্নাইপার দিয়ে হামলার অভিযোগ সামনে এসেছে, তাতে রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবও উঠেছে, যাতে সমর্থন জানিয়েছে ভারতও। সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান লিওর। একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।


বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবও ওঠে, প্যালেস্তাইনে জোরপূর্বক ইজরায়েলের বসতি গড়ে তোলার নিন্দা করা হয়। পূর্ব জেরুসালেম থেকে সিরিয়ার কাছ থেকে ছিনিয়ে অধিগ্রহণ করে রাখা গোলানে ইজরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিন্দায় আনা হয় ওই প্রস্তাব। ইজরায়েলের নিন্দার সপক্ষে আনা ওই প্রস্তাবে ১৪৫টি দেশ সায় দেয়, যার মধ্যে রয়েছে দিল্লিও। ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে  আমেরিকা এবং কানাডা-সহ আটটি দেশ। ১৮টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে।