আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (United States President Joe Biden)ইজরায়েল ( Israel War ) সফরের ঠিক আগে গাজার ( Gaza Hospital Attack ) হাসপাতালে চলেছে ভয়াবহ হামলা। ইজরায়েলি হামলায় শয়ে শয়ে প্যালেস্তাইনের নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করল হামাস। ইজ়রায়েল এই হামলার দায় নেয়নি। তাহলে এই হামলা ঘটাল কারা ? আরও তথ্য সংগ্রহ করতে চায় আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, ইজ়রায়েল সফরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই হামলার বিষয়ে ইজ়রায়েলের নেতাদের চোখা চোখা প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইজ়রায়েল সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং সে-দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত রুদ্ধদ্বার বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। অন্যদিকে এই বিস্ফোরণের ফলে শত শত মানুষের মৃত্যুর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করলেন আরবের শীর্ষ নেতারা। মঙ্গলবার গাজার হাসপাতালে প্রাণঘাতী হামলার পরই এই সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে জন কিরবি জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের জর্ডন সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষের সম্মতিতেই নেওয়া হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে, বাইডেন সফরকালে ইজ়রায়েলে যুদ্ধতে ক্ষতিগ্রস্ত, আহত, প্রিয়জন হারানো মানুষদের সঙ্গে দেখা করবেন। বাইডেন তাঁর প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন হাসপাতালে হামলা চালাল কে ? এই নিয়ে ইজ়রায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে দোষারোপ পাল্টা দোষারোপ চলছে। গাজার আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ইজ়রায়েল হামলা চালায় বলে দাবি করেছে হামাস পরিচালিত প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিইয়াহু। এই হামলার পিছনে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের কোনও হাত নেই বলে সাফ জানিয়ে দিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। বর্বরোচিত হামলা আইডিএফ নয়, ঘটিয়েছে জঙ্গিরাই, দাবি তাঁর।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি, হাসপাতালে হামলায় মৃত্য়ু হয়েছে অন্তত ৮০০ জনের। মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এই ঘটনায়, ৩ দিনের শোক ঘোষণা করেছেন প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
উত্তর গাজার এই হাসপাতালে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছে WHO. রোগী, চিকিৎসক, নার্স ছা়ড়াও ওই হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেক ঘরছাড়ারাও। ইজ়রায়েলি সেনার তরফে গাজার যে ২০ টি হাসপাতাল খালি করে দিতে বলা হয়েছিল, তার মধ্যে একটি এই আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতাল। কিন্তু বহু সঙ্কটজনক রোগী ভর্তি থাকায় এবং নিরাপত্তার অভাব থাকায় তা সম্ভব হয়নি। রোগীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ছিল না পর্যাপ্ত অ্যাম্বুল্যান্সও।
আরও খবর :
হামাসের গুলিবৃষ্টির মধ্যে গাড়ির নিচে গা-ঢাকা, রুদ্ধশ্বাস ড্রাইভিং, প্রেমিক-প্রেমিকা জীবনে ফেরার গল্প