টোকিও: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান। রিখটার স্কেলে বুধবারের এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৩। এই ভূকম্পের পরই জারি হয়েছে সুনামির সতর্কবার্তা। জাপানের ন্যাশনাল সেন্টার পর সিসমোলোজি জানিয়েছে, রাজধানী টোকিও-র ২৯৭ কিমি উত্তর-পূর্বে এই এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে রাত ৮.০৬ টায়।
জাপানের আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুসারে, ফুকুশিমা অঞ্চলের উপকূল বরাবর মাটির ৬০ কিমি গভীরে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এরইমধ্যে জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূল অঞ্চলে সুনামির সতর্ক বার্তা জারি করা হয়েছে। মিয়াগি ও ফুকুশিমার উপকূলবর্তী অঞ্চলের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব উপকূলে ১ মিটার উচ্চতার সুনামি ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে এই সুনামি আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।এই জোরাল ভূমিকম্পের ধাক্কায় কেঁপে ওঠে টোকিও সহ পূর্ব জাপানের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ। প্রায় ২০ লক্ষ পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরমধ্যে জাপানের রাজধানী টোকিওতেও বিদ্যুহীন হয়ে পড়ে ৭ লক্ষ বাড়ি। বিদ্য়ুৎ সরবরাহকারী সংস্থার টেপকো এ কথা জানিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
এদিনের ভূমিকম্প উস্কে দিয়েছে ২০১১-র বিপর্যের স্মৃতি। ওই বছরের শক্তিশালী ভূমিকম্প ও তার পরবর্তী সুনামির কারণে ফুকুশিমায় পারমাণবিক বিদ্য়ুৎকেন্দ্রে বিপর্যয় দেখা গিয়েছিল। ওই সুনামিতে মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা ছিল সাড়ে আঠারো হাজার।
কয়েকদিন আগেই ছিল ২০১১-র মার্চের ওই ভয়াবহ বিপর্যয়ের ১১ তম বার্ষিকী । তার কয়েক দিনের মধ্যেই ফের ভূমিকম্প তাজা করে তুলেছে ১১ বছর আগের বিপর্যয়ের স্মৃতি।
উল্লেখ্য, জাপান অবস্থিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘অগ্নি বলয়ে’র মধ্যেকার এলাকায়। এখানে ভূমিকম্প নতুন কিছু নয়য নিয়মিতই কম্পন অনুভূত হয় জাপানে। সেজন্য় শক্তিশালী ভূমিকম্পের ধাক্কা যাতে ঘরবাড়ি সহ্য করতে পারে, সেজন্য কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হয়।