ওয়াশিংটন: কাবুল বিমানবন্দরে হামলা নিয়ে সরব হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার কাবুলে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় আফগান পরিস্থিতি নিয়ে ভাষণ দেওয়ার সময় কড়া বার্তায় জানান যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণের হামলাকারীদের শনাক্ত করবে এবং পাল্টা আক্রমণ করার পরিকল্পনা তৈরি করতে পেন্টাগনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।


জোড়া বিস্ফোরণে প্রচুর সংখ্যক আমেরিকান সেনা নিহত এবং বিপুল সেনা আহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই সাংবাদিক বৈঠকে বাইডেন বলেন এক দশকের মধ্যে আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর হতাহতের ঘটনায় সবচেয়ে খারাপ দিন। এই ঘটনায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্টও তাঁদেরকেই কাঠগড়ায় দায়ী করেছে।


হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, "আমরা ক্ষমা করব না। এই ঘটনা ভুলবও না। খুঁজে বের করব এদেরকে। এর মূল্য চোকাতে হবে।" তবে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাবাহিনী উচ্ছেদের কাজ জারি থাকবে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এই অশান্ত আবহে প্রায় এক হাজার আমেরিকান এবং আরও অনেক আফগান এখনও কাবুল থেকে বেরিয়ে আসতে হিমশিম খাচ্ছে মার্কিন মুলুক।


বৃহস্পতিবার কাবুলে বিস্ফোরণের ঘটনায় ১২ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১৫ মার্কিন সেনাসদস্য। হামলার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসকে দায়ী করেছে পেন্টাগন। আইএসের পক্ষ থেকেও হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে।


আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর আশঙ্কা। বিস্ফোরণের পরেই বিমানবন্দরের বাইরে এলোপাথাড়ি গুলি। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সূত্রে খবর, বিস্ফোরণে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিন মার্কিন সেনা আধিকারিক সহ আহত হয়েছেন অন্তত ৫২ জন।


কাবুল বিমানবন্দরের গেটের বাইরে বিস্ফোরণ। আগেই কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের আশঙ্কা করেছিল পেন্টাগন। সেই আশঙ্কা সত্যি প্রমাণ করেই বিস্ফোরণ হল। কাবুল থেকে মার্কিন বিমানের উড়ানের ঠিক আগে বিস্ফোরণ। বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের কাছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। এছাড়া কাবুলের ব্যারন হোটেলের সামনেও বিস্ফোরণ হয়েছে। কিছুক্ষণ আগে ইতালির বিমান লক্ষ্য করে গুলিবৃষ্টি।