ওয়াশিংটন: প্রয়াত হলেন চাঁদের বুকে পা রাখা কিংবদন্তি মার্কিন মহাকাশচারী জন ইয়ং। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭। ইয়ংয়ের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করল নাসা।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, নাসা একজন কিংবদন্তিকে হারাল। সংস্থার প্রশাসক রবার্ট লাইটফুট বলেছেন, আমরা ওনার সাফল্যের ভিতের ওপর ভর করে মহাকাশে মানব-অভিযানের পরবর্তী ধাপ তৈরি করব।
জানা গিয়েছে, হিউস্টনে নাসার স্পেস সেন্টারের অদূরেই থাকতেন ইয়ং। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। সম্প্রতি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। তা থেকে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়। অবশেষে শনিবার মৃত্যু হয় এই বর্ষীয়ান নভশ্চরের।
নাসার প্রকাশিত বিবৃতিতে জানা গিয়েছে, মহাকাশাভিযানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পথিকৃৎ ছিলেন ইয়ং। একমাত্র মহাকাশচারী যিনি জেমিনি, অ্যাপোলো এবং অন্যান্য স্পেস শাটল প্রোগামের সদস্য হয়ে মহাকাশে যান। তিনিই হলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি কোনও শাটল ফ্লাইটকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এছাড়াও, ইয়ংয়ের মুকুটে সআরও অনেক পালক রয়েছে। যেমন—তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি ৬ বার মহাকাশে গিয়েছেন। চাঁদের চারধারে প্রদক্ষিণ করেছেন এবং তার পৃষ্টে অবতরণও করেছেন। একটা সময় পর্যন্ত মহাকাশযাত্রার বিশ্ব রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন ইয়ং।
নাসা জানিয়েছে, জেমিনি-৩ মিশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন ইয়ং। প্রথম স্পেস শাটল অভিযানে নেতৃত্বও দেন। পরবর্তীকালে, জেমিনি-১০ অভিযানের কমান্ডেও ছিলেন তিনি। পাশাপাশি, অ্যাপোলো-১০ অভিযানে তিনি চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করেন। তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল অ্যাপোলো-১৬য় চেপে চাঁদের বুকে অবতরণ করা।
এখানেই শেষ নয়। নাসায় যোগ দেওয়ার আগে মার্কিন নৌসেনাতেও একাধিক কীর্তি স্থাপন করেন ইয়ং। এফ-৪ ফ্যান্টম ২ জেটবিমানে এক অনন্য নজির তৈরি করেন যখন তিনি ওই যুদ্ধবিমানটিকে রেকর্ড সময় আকাশে তোলেন।