ব্যাঙ্কক: ত্বকের রঙ ফর্সা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজারে বিভিন্ন ক্রিম বিক্রি হয়। সেই ক্রিম মেখে আদৌ ফর্সা হওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। তবে সেই ক্রিমগুলির বিক্রি বেশ ভালই হয়। তাইল্যান্ডে আবার যুবকরা এক অদ্ভুত বিষয় নিয়ে মেতে উঠেছেন। তাঁরা পুরুষাঙ্গ সাদা করার জন্য হাসপাতালে ছুটছেন। এটি রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।


কিছুদিন আগে ব্যাঙ্ককের একটি হাসপাতাল ইন্টারনেটে একটি ভিডিও আপলোড করে। সেই ভিডিওতে বিস্তারিতভাবে দেখানো হয়, কীভাবে পুরুষাঙ্গের রঙ সাদা করে দেওয়া হচ্ছে। কসমেটিক চিকিৎসার মাধ্যমে পুরুষদের কুঁচকির আশেপাশের অংশের রঙ বদলে দেওয়া হচ্ছে। এই ভিডিও প্রবল জনপ্রিয় হয়। ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই ভিডিও দেখেন। উৎসাহের বশে এখনও পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ মন্তব্য করেছেন।

ব্যাঙ্ককের ওই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মানুষের শরীরের অন্যান্য অংশের রঙ ফর্সা করার জন্য যেভাবে লেজার ব্যবহার করা হয়, পুরুষাঙ্গ সাদা করার জন্যও সেই পদ্ধতিই ব্যবহার করা হচ্ছে। লেজারের মাধ্যমে ত্বকের কোষগুলির মেলানিন ভেঙে দেওয়া হয়। এভাবেই পুরুষাঙ্গ সাদা করে দেওয়া হচ্ছে। এই অস্ত্রোপচারে খরচ হচ্ছে প্রায় ৬৫০ মার্কিন ডলার। তবে খরচের পরোয়া করছেন না তাইল্যান্ডের পুরুষরা। প্রতিদিন ব্যাঙ্ককের ওই হাসপাতালটিতে ১০০ জনেরও বেশি যুবক পুরুষাঙ্গ সাদা করার জন্য আসছেন।

ভারতের মতো তাইল্যান্ডেও সামাজিকভাবে ফর্সা লোকজনের মর্যাদা ও গুরুত্ব বেশি। বেশিরভাগ মানুষই তাই ফর্সা হওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের মতে, এর ফলে সমাজে গুরুত্ব বাড়ে। কিন্তু পুরুষাঙ্গ সাদা করার প্রবণতা এর আগে দেখা যায়নি। যে হাসপাতালে পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার চিকিৎসা চলছে, সেই হাসপাতালই এর আগে মহিলাদের যৌনাঙ্গের আকার বদলে দেওয়ার বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। এবার পুরুষদের যৌনাঙ্গ সাদা করা হচ্ছে।