ঢাকা: রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও পরিবহণ অবরোধ সহ ৯টি মামলায় জামিন পেলেন খালেদা জিয়া। গত ২১ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ঠিক কতজন শহিদ হয়েছিলেন, সে ব্যাপারে সংশয়ের সুরে প্রশ্ন তোলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা মামলা দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। সেই মামলায় বুধবার তাঁকে জামিন দিলেন মেট্রপলিটান দায়ার বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা।


বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কট্টর বিরোধী মৌলবাদী জামাত-ই-ইসলামির জোটসঙ্গী প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সভানেত্রীর দেশের স্বাধীনতার যোদ্ধাদের সম্পর্কে মন্তব্য ভাল ভাবে নেয়নি শাসক আওয়ামি লিগ। তাদের পাশাপাশি তত্কালীন শহিদদের পরিবারের লোকজনও খালেদার কথায় ক্ষুব্ধ হন। এমনকী তাঁকে ‘পাকিস্তানের এজেন্ট’ও বলেন অনেকে।

সেই মামলায় এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। তা মঞ্জুর হয়। খালেদা আদালত থেকে বেরতে তাঁর সমর্থকরা উল্লাস প্রকাশ করে সরকার-বিরোধী স্লোগান দেন।

এছাড়া আটটি লুঠপাট, হামলার মামলায়ও তাঁকে জামিন দেয় আদালত। হাসিনার পদত্যাগ ও নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধীদের ডাকে দেশব্যাপী রাস্তা, সড়ক, রেল ও নদী পরিবহণ অবরোধ চলাকালে ঢাকায় বাস, ট্রাকে বোমা ছোঁড়া হয়েছিল। ১২০ জনের বেশি নিহত হয়েছিলেন। পুলিশও পাল্টা গুলি চালিয়েছিল। এ ঘটনায় খালেদা ও তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ১০ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।

এছাড়া কয়লা খনি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলাতেও এদিন হাজিরা দেন খালেদা। তাঁর দাবি, সব সাজানো মামলা। উদ্দেশ্য, তাঁকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা।

খালেদার বিরুদ্ধে মোট ৩০টি মামলা ঝুলছে।

গত মাসে তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানকে বেআইনি আর্থিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।