বেজিং: পাকিস্তানে অপহরণের পর দুই চিনা নাগরিককে খুন করে ফেলার খবরে প্রবল উদ্বেগ জানাল বেজিং। এক বিবৃতিতে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, এ ব্যাপারে প্রকাশিত খবর আমাদের নজরে এসেছে। আমরা গভীর উদ্বিগ্ন। আমরা দুই অপহৃত পণবন্দিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।


প্রসঙ্গত, ইসলামিক স্টেট-এর সঙ্গে যুক্ত আমাক নিউজ এজেন্সি-র দাবি, পাকিস্তানে দুই চিনা নাগরিককে অপহরণ, খুন করেছে আইসিস। গত মাসে বালুচিস্তানে অপহৃত হন চিনা ভাষা পড়াতে আসা এক দম্পতি। তৃতীয় এক চিনা নাগরিক কোনওক্রমে অপহরণকারীদের হাত থেকে বেঁচে যান। অপহরণে বাধা দিতে গিয়ে গুলিতে জখম হন এক পথচারী।

এ ব্যাপারেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে চুনিং স্পষ্ট বলেন, নানা সূত্রে চিন ও ওই খবরের সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করছে। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সাহায্যও নিচ্ছে। চিন সাধারণ নাগরিকের অপহরণ, সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম, যে কোনও হিংসার কঠোর বিরোধী।

চিন আগেই পাকিস্তানে নিজেদের নাগরিকের অপহরণে উদ্বেগ প্রকাশ করে পাকিস্তানকে বলেছে, তাদের ভূখণ্ডে চিনা নাগরিক ও সংস্থার সুরক্ষায় আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সুনিশ্চিত করা হোক তাদের নিরাপত্তা।

গত ২৫ মে বেজিং জানায়, চিন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডর প্রকল্পের সূত্রে পাকিস্তানে চিনের উপস্থিতি ক্রমশ বাড়ছে। বালুচিস্তানে গোয়াদর বন্দরকে ঘিরে বিশাল ট্রেড জোন তৈরি হচ্ছে। কয়েক হাজার চিনা নাগরিক নানা প্রকল্পে কাজ করতে পাকিস্তানে আসছেন। এই পরিস্থিতিতে কোয়েটার কাছে ভাষা শিক্ষার স্কুলে পড়ানো চিনা দম্পতির অপহরণের ঘটনায় চিনের কাছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ বড় হয়ে উঠেছে।

আজই কাজাখস্তানের আস্তানায় দেখা হয়েছে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের। তার মধ্যেই চিনের এই উদ্বেগ প্রকাশ।
পাক সেনাবাহিনী অবশ্য এ সপ্তাহেই জানিয়েছে, তারা আইসিসি, লস্কর-ই-জাংভির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ১২ সন্ত্রাসবাদীকে খতম করেছে।