আস্তানা: সমন্বয় গড়েই সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার মোকাবিলা করতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শুক্রবার, কাজাখস্তানের আস্তানায় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে মোদী বলেন, জঙ্গি নিয়োগ, প্রশিক্ষ, আর্থিক জোগান ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সকলে একসঙ্গে রুখে না দাঁড়ালে এর মোকাবিলা করা অসম্ভব।
[embed]https://twitter.com/PMOIndia/status/873094073208274949[/embed]
১২ বছর পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকার পর ভারত আজ এই সংগঠনের সদস্যপদ পেল। এর জন্য তিনি বাকি সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সাল থেকেই ভারত এই ইউরেশীয় ব্লকের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে। ভারতের সঙ্গে এই সংগঠনের সদস্য হল পাকিস্তানও।
[embed]https://twitter.com/narendramodi/status/873055217289379841[/embed]
এর আগে, এদিন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও দেখা করেন মোদী। গতমাসে বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া বেল্ট অ্যান্ড রোডস সম্মেলন বয়কট করেছিল ভারত। সেই দিক দিয়ে এই বৈঠক কূটনৈতিক স্তরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জানা গিয়েছে, উভয় রাষ্ট্রনেতা সেখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতির প্রয়াস করেন।
সাম্প্রতিককালে, চিন ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক চাপানউতোর জোরালো হয়েছে। চিন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডর (সিপিইসি) এবং এনএসজি ইস্যুতে দুদেশের মধ্যে একটা চোরাস্রোত বইছে। একদিকে, চিন ভারতের এনএসজি (নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপ) সদস্যপদ ও রাষ্ট্রসংঘে জয়েশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে জঙ্গি ষোষণা করতে ভারতের দাবিকে আটকেছে চিন।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের অর্থনৈতিক করিডর প্রসঙ্গেও আপত্তি জানিয়েছে ভারত। পাশাপাশি, দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের একাধিপত্য এবং দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে দুদেশের মধ্যে সীমান্ত জটিলতা নিয়েও দুদেশের সম্পর্কে একটা শীতলতা এসেছে।
শি জিনপিং, যিনি চিনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র সাধারণ সম্পাদকও বটে, এদিন তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পর মোদী টুইট করে লেখেন, আমরা ভারত-চিন সম্পর্ক ও তার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছি। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, গতকাল রাতে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন মোদী।