নয়াদিল্লি: চরবৃত্তি, নাশকতা, অন্তর্ঘাতে দোষী সাব্যস্ত কুলভূষণ যাদবের বিচার হয়েছে আইন মেনেই। তাঁকে পাকিস্তানের সংবিধানের আওতায় প্রাপ্য আইনি অধিকার দিয়েই স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচার করা হয়েছে, এমনই দাবি করলেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিদেশ সংক্রান্ত পরামর্শদাতা সরতাজ আজিজ।
যাদবের ন্যায়বিচার হয়নি, ভারতের এই অভিযোগ খারিজ করেন তিনি। দাবি করেন, 'সুনির্দিষ্ট', 'অকাট্য' তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই বিচার হয়েছে যাদবের যাতে তাঁর বিরুদ্ধে চরবৃত্তি, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যোগসাজশ প্রমাণিত হয়েছে। আজিজ বলেন, ভারতের ভিত্তিহীন অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ করছি। ভারতই সহযোগিতা করেনি, পাকিস্তানের আইনি সহায়তার অনুরোধে ভারতের সাড়া মেলেনি। সেজন্যই যাদবের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি কনস্যুলেটকে।
আজিজের বক্তব্য, পুলিশের সন্ত্রাস দমন দপ্তর প্রথম এফআইআরটি দায়ের করে ২০১৬-র ৮ এপ্রিল, বালুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায়। তারপর পূর্ণাঙ্গ বিচার হয়েছে, তথ্যপ্রমাণ আইন সহ যাবতীয় আইন মানা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। যাদব যাবতীয় আইনি সহায়তা পেয়েছেন।
আজিজ বলেন, আমি ভারতের কাছে জানতে চাই, কেন যাদব ভুয়ো মুসলিম পরিচয় ব্যবহার করেছেন? যার প্যাঁচঘোঁচ নেই, সে কেন একটা হিন্দু, আরেকটা মুসলিম, দুটো পরিচয়পত্র রাখবে? তাদের কর্মরত নৌ কমান্ডার বালুচিস্তানে কী করছিলেন, ভারতের কাছে এর কোনও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা নেই। সে কারণেই ভিত্তিহীন প্রচার চালাচ্ছে।


তিনি এও বলেন, 'পূর্বপরিকল্পিত হত্যা', 'বালুচিস্তানে অশান্তি' নিয়ে হুঙ্কার, প্ররোচনামূলক কথাবার্তা শুধু উত্তেজনাই বাড়িয়ে দেবে, তাতে কাজের কাজ কিছুই হবে না। আমরা আশা করব, ভারত দায়িত্বশীল মনোভাব দেখাবে, দু দেশের নাগরিকদের মধ্যে বিরোধ বাড়াতে পারে, এমন বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকবে। ভারত-পাক সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান সঙ্কট গভীর হওয়ার আগে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও সুবিবেচনাপ্রসূত কূটনীতির প্রয়োজন আছে।
বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও ভারতে বন্দি অনেক পাকিস্তানিকেও তাদের কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে পাল্টা অভিযোগ করেন আজিজ।