এদিন দ্বীপরাষ্ট্রের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এধরনের সম্মেলন আয়োজন করার অনুকূল নয়। তাই এই মুহূর্তে ১৯ তম সার্ক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রশ্ন নেই।
যদিও, শ্রীঙ্কার বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে ভারত বা পাকিস্তানের কোনও উল্লেখ নেই, কিন্তু সেখানে যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসের বিরোধিতা করা হয়েছে।
সার্ক চার্টার অনুযায়ী, যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হলে সেখানে ঐকমত্যের প্রয়োজন হয়। ফলে, কোনও একটি দেশ যদি সম্মেলনে অংশ না নেয়, তাহলে সম্মেলন হয় পিছিয়ে যায় বা বাতিল হয়।
এদিন শ্রীলঙ্কা আরও জানায়, আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হওয়ার দরুণ কলম্বো আশা করে এই দুই বিষয় সুনিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে। যাতে করে আঞ্চলিক সহযোগিতার সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে ওঠে।
এর আগে ভারত ছাড়াও পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে চলা সার্ক সম্মেলন বাতিল করে বাংলাদেশ, ভূটান এবং আফগানিস্তান। সকলের অভিযোগ, সম্মেলন আয়োজন করার মত পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ পাকিস্তান।
যার জেরে গতকাল সার্কের চেয়ারম্যান নেপাল জানিয়ে দেয়, চার সদস্য দেশ যেখানে বলছে, তারা সম্মেলনে যোগ দিতে পারবে না, তখন নিশ্চয় কোনও সমস্যা রয়েছে। ফলে, পরিবেশ অনুকূল যতক্ষণ না হচ্ছে, ততক্ষণ এই সম্মেলন করে কোনও লাভ নেই।