ভালেট্টা: কয়েকঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস টানাপোড়েন এবং টানটান উত্তেজনার পর বিমান ছিনতাই-কাণ্ডের যবনিকা পতন। অবশেষে আত্মসমর্পণ করল ২ অপহরণকারী। তাঁদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সব যাত্রীরা মুক্তি পেয়েছেন। জানা গিয়েছে, মল্টায় থাকার অনুমতি দাবি করে অপহরণকারীরা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ (ভারতীয় সময় বিকেল চারটে) ১১৮ জন যাত্রী সহ লিবিয়ার বিমান অপহরণ করে মল্টায় নিয়ে যায় ২ অপহরণকারী। জানা যায়, বিমানে ১১১ জন যাত্রী এবং ৭ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। হ্যান্ড গ্রেনেড দিয়ে বিমান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।
মল্টার সরকারি সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, শুক্রবার লিবিয়ার আন্তঃদেশীয় সরকারি বিমান সংস্থা আফ্রিকিয়া এয়ারওয়েজের একটি বিমানকে অপহরণ করা হয়।
বিমানটি লিবিয়ার সৈকত নিকটবর্তী শহর সাবা থেকে ত্রিপোলির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু, মাঝপথে অপহরণ করে বিমানটিকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র মল্টায় নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
মল্টার সরকারি চ্যানেল দাবি করে, ২ অপহরণকারীর হাতে হ্যান্ড গ্রেনেড ছিল। তারা তা দিয়ে বিমানকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়।
মল্টার বিমানবন্দরে অপহৃত এয়ারবাস এ৩২০ বিমানটি অবতরণ করায় অপহরণকারীরা। যে কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরের টারম্যাক ঘিরে ফেলে বাহিনী। এমনকী, সব বিমানের ওঠানামাও বাতিল করে দেওয়া হয়।
এরমধ্যেই, আটক যাত্রীদের মুক্তির জন্য মল্টার জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি অপহরণকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দেয়।
এরপরই মহিলা ও শিশু সহ ৬৫ জনকে মুক্তি দিতে সম্মত হয় অপহরণকারীরা। তবে, বিমানচালককে মুক্তি দেওয়া হয়নি সেই সময়। আরও এক-ঘণ্টা পরে, সকল যাত্রীদের মুক্তি দেয় অপহরণকারীরা।
জানা গিয়েছে, অপহরণকারীরা মল্টায় থাকার অনুমতি দাবি করে। এই শর্তেই তারা সব যাত্রীকে মুক্তি দেয়। এমনকী, আত্মসমর্পণও করে।
মল্টা সরকার অপহরণকারীদের শর্ত মেনেছে কি না, তা জানা গেলেও, শেষ খবর, অপহরণকারীদের আটক করা হয়েছে।